তিন কোটি টাকার ব্রিজ নির্মান হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই বছর চলাচল করতে না দেওয়ায় পড়ে রয়েছে ফলে এলাকার কৃষকরা তাদের বিভিন্ন ফসল ও বর্তমানে পাট শুকানোর কাজে ব্রীজটি ব্যবহার করছে।শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত একটি ব্রিজ দুই বছর ধরে পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। যাত্রীবাহী বা মালবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না ও সাধারণ পথচারীরা ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।
পাইকপাড়া গ্রামে এলাকাবাসির সুবিধার জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নির্মারন করে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে ব্রীজটি পড়ে থাকায় কোন কাজেই আসছে না। ব্রীজটি এখন পাট শুকানোর কাজে কৃষকরা ব্যবহার করছে।২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল জিকে সেচ খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু ব্রিজটির দু’পাশে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।ফলে এলাকাবাসী এখনও পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ব্যবহার করেই চলাচল করছে।বর্তমানে ব্রিজটি এখন ব্যবহার হচ্ছে পাট শুকানো,পাটখড়ি,খড়, ধান শুকানো ও কৃষকদের বিভিন্ন ফসলি রাখার প্রধান জায়গা।অনেকে রেখেছে ইট,বালি,গরু ও ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন মালামাল।এলাকার মানুষ বলছেন, সরকার মোটা অংকের টাকা খরচ করে ব্রিজ করে দিল কিন্তু দুই পাশে রাস্তা না থাকার কারনে ৩ কোটি টাকার ব্রিজ কোন কাজেই আসছে না।যে কারনে এলাকার ও বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পুরাতন ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে ভাঙা চলাচল করছে, ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন টা আশংকা দেখা দিয়েছে।অনেকেই বলছে পাট শুকানোর ব্রিজ, কেউ বলছে কৃষদের ফসলি কাজে ব্যবহার করা জন্য এ ব্রিজ।সড়কে চলাচলকারী আকরাম হোসেন নামে এক নসিমন চালক বলেন, পুরাতন ব্রিজ দিয়ে নসিমন চালাতে ভয় করে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তার পর ও কোন উপায় না পেয়ে বা যাওয়ার কোন পথ না থাকায় পুরাতর ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।নির্মাণের পর এতোদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। কারণ ব্রিজ নির্মাণ হলেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। ব্রীজ নির্মাণের পর বলা হয়েছিল দ্রুত সংযোগ সড়ক হবেও রাস্তাপাঁকা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন টালবাহানায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। চলাচলের জন্য ঐলাকার মানুষের কোন কাজেই আসছে না। কালের স্বাক্ষিরমত দাড়িয়ে রয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামটি হাকিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম। শৈলকূপা উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায়১০ কিলোমিটার। গ্রামটিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নির্মিত হয়েছে, যা বর্তমানে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাইকপাড়া গ্রামটি ঝিনুক ও ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত নবগঙ্গা ও দহা নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য পরিচিত ছিল।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ব্রিজ নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহন করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। ফলে ব্রীজের দু’পাশে সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। তবে অচিরেই সড়ক নির্মাণ করে ব্রিজটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে এমন চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান।