অবরোধ তুলে নিলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
অবরোধ তুলে নিলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের যান চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকায় যাত্রী ও পরিবহন চালকরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। দীর্ঘ নয় বছর পেরিয়ে গেলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের এই দাবি জানান। তারা জানান, ক্যাম্পাস না থাকার কারণে পড়াশোনার মান ধরে রাখা কঠিন হচ্ছে এবং নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সচেতন মানুষেরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশ নেন।

অবরোধ চলাকালে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সড়কযোগাযোগে বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ ও পরিবহন মালিকরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাইওয়ে পুলিশ ও সলংগা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন। তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাতে হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০০ শিক্ষার্থী, ৩৪ শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ কর্মচারী নিয়ে বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সঙ্গীত ও ব্যবস্থাপনা এই পাঁচটি বিভাগে পড়াশোনা হচ্ছে।

২০২৫ সালে ১০০ একর জমিতে প্রায় ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাস নির্মাণের নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এটি এখনো নীতিগত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের প্রকল্প বিরোধিতার কারণেই অনুমোদনে বিলম্ব হচ্ছে। তারা তার পদত্যাগও দাবি করেন।

অবরোধ চলাকালীন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সুমন কান্তি বড়ুয়ার অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক ফোরাম।

শিক্ষার্থীরা রোববার অবরোধ শেষে ঘোষণা করেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানা হলে তারা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে