যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হোক, এটা আমরা চাই। কিন্তু, মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমির যে নামমাত্র মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে, তা আমরা মানি না। আমাদের শহরের প্রান কেন্দ্রে কোটি টাকা শতকের জমি নামমাত্র ৬/১০ লাখ নির্ধারন করে অধিগ্রহনের চেষ্টা করছে সরকার। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মৌজার ৫/১০ লাখ টাকা শতকের জমি ৫ থেকে ২৫/৩০ হাজার টাকা নির্ধারন করায় আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের দাবী অর্ধশত বছর আগের জমির মৌজা রেট বাতিলসহ মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমি ও স্থাপনার বর্তমান বাজার মূল্য দিতে হবে। এমন দাবীতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঝিনাইদহ-যশোর ৪৭ কিলোমিটার ছয়লেন মহাসড়কের দু’ধারের অধিগ্রহণকৃত জমি ও স্থাপনার মালিকগন মানববন্ধন করেছে। রোববার সকালে শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ঘণ্টাব্যাপী এক মানববন্ধন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত এক স্বারকলিপি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলমের হাতে প্রদান করেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্থ্য জমি মালিকেরা উপজেলা গেটের সন্মুখে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে আসলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক জামির হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তোহিদ সহ ক্ষতিগ্রস্থ্য ভূমি মালিকেরা।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে গেলে সেখানে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আরো বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন-আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল ও ইলিয়াস রহমান মিঠু।
ক্ষতিগ্রস্থ্য ভূমি স্থাপনা মালিকেরা আরো বলেন, গত ৭ আগষ্ট তাদেরকে ছয়লেন মহাসড়কের অধিগ্রহনকৃত জমির ৮ ধারার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এতে যে মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে তা একেবারেই হাস্যকর। শহরের কোটি কোটি টাকার জমি ও স্থাপনার নামমাত্র মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আমাদের পথে বসতে হবে।
তারা আরো বলেন, মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ফ্লাইওভার নির্মানের পরিকল্পনা হলেও তার নিচে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন বন্ধসহ জমির শ্রেনী পাল্টিয়ে ক্ষতি-পূরণ প্রদান আমরা মানবো না। এসব দাবী না মানলে পরবর্তীতে হরতাল, অবরোধ সহ আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।