পাঁচবিবিতে বন অফিস শুধু সাইনবোর্ডে, বাস্তবে খালি জায়গা

এফএনএস (মোঃ আব্দুল হাই; পাঁচবিবি, জয়পুর হাট) : | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
পাঁচবিবিতে বন অফিস শুধু সাইনবোর্ডে, বাস্তবে খালি জায়গা

পাঁচবিবি উপজেলায় কাগজে-কলমে রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ বন বিভাগের অফিস। প্রতিবছর সরকারি বরাদ্দও আসে এই অফিসের নামে। কিন্তু বাস্তবে সেই অফিস খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ‘ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তার কার্যালয়, সামাজিক বনায়ন ও বাগান কেন্দ্র পাঁচবিবি’ নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলে আছে উপজেলা পরিষদের সামান্য দুরে। পাশেই উপজেলা ভুমি অফিস। রাস্তার পাশে ঝুলছে একটি বড় সাইনবোর্ড। লেখা আছে ভারপ্রাপ্ত বনকর্মকর্তার কার্যালয়। আশেপাশে নেই কোনো  স্থাপনা, নেই কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী। সাইনবোর্ড থাকা জায়গাটি কার্যত পরিত্যক্ত—একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি কোনো পরিত্যক্ত আবর্জনার স্থান। পাশেই রয়েছে কয়েকটি বেদখল হয়ে যাওয়া বীজতলা বা রোপণ বেড। দুশ গজ ভিতরে গেলে চোখে পড়বে পরিত্যক্ত ভুতুড়ে কয়েকটি ঘর। দুর থেকে দেখলে মনে হবে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন নিদর্শন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে এই অফিসের নামেই চলে কাগজে-কলমে কার্যক্রম। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন কাজ , নেই কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন। তারা প্রশ্ন তুলছেন, “বন বিভাগের এই অফিস কোথায়? কে সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা?”

একজন স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ আলী  বলেন, “এখানে তো কোনো অফিস চোখে পড়ে না। কিন্তু মাঝে মাঝে শুনি বনবিভাগের  টাকা আসে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মতলুবুর রহমান বলেন, “আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। একজন কর্মকর্তা একাধিক উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নিয়মিতভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।” বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বরাদ্দ অনেকটা কম। তবে পাঁচবিবির অফিস নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত আছেন।”

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবল সংকটের কথা বলে বছরের পর বছর ধরে এই ‘অদৃশ্য অফিস’-এর আড়ালে একটি দুর্নীতির চক্র গড়ে উঠেছে। নিয়মিত সরকারি বরাদ্দ আসে কিন্তু  কোনো হিসাব নেই, নেই কোনো তদারকি।

সচেতন মহলের দাবি শুধু জনবল সংকটের অজুহাতে বছরের পর বছর একটি অফিসের অস্তিত্ব মুছে যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে