শার্শায় নদীর উজানে তলিয়ে গেছে শতাধিক একর জমির ফসল

এফএনএস (মহসিন মিলন; বেনাপোল, যশোর) : | প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
শার্শায় নদীর উজানে তলিয়ে গেছে শতাধিক একর জমির ফসল

যশোরের শার্শার সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও ভারতীয় ইছামতি নদীর উজানের প্রভাবে শতাধিক একর আমন ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্য চাষীরা।

বিশেষ করে উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম- বড়আঁচড়া, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, পুটখালী, দৌলতপুর, গোগা, রুদ্রপুর, কায়বা, ভুলোট, দাউদখালি, সরবানহুদা, ঘিবা, ধান্যখোলা, শিকারপুর, শালকোনা, শিববাস, বাহাদুরপুরসহ অনেক এলাকায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, বাঁওড় ও মাছ চাষের জলাশয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া এলাকার প্রায় অর্ধশত গ্রামের কাঁচা রাস্তা চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

সীমান— এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভারত সীমানে—র ইছামতি নদীর পানি ঢুকে প­াবিত হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তএলাকার নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে উপজেলার কায়বার সাহেবের খাল ও সরবান হুদার কোদলার খাল দিয়ে বেশি ভারতীয় পানি প্রবেশ করছে। এদিকে ভারতীয় পানির চাপে ও অতি বর্ষণের ফলে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সীমানে— বসবাসকারী অনেকের বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি জমে গেছে। সেই সাথে পাকা সড়কের ওপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তা-ঘাটের চরম ক্ষতিসাধন হয়েছে। অনেক মৎস্য চাষীর লাখ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

রুদ্রপুর গ্রামের কৃষক আমজেদ আলী জানান, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি প্রবেশ করে আমাদের চরম ক্ষতি হয়েছে। এই মাঠে আমরা চাষাবাদ করে থাকি। আমন ধান রোপণ করেছিলাম। সব পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এখন পথে বসা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই।

সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন জানান, উপজেলার পুটখালী গ্রামে অনেক মাছের ঘের ভেসে মাছ বেরিয়ে গেছে। একাধারে বৃষ্টির পানি অন্যদিকে ভারতের পানি আমাদের জমিতে আসা সব মিলিয়ে মাছের ঘের, ফসলের মাঠ যেমন ভেসেছে তেমনি জমির বীজতলারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার ক্ষতির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে