গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী হাটের চলাচলের অন্যতম আর সিসি ঢালাই রাস্তাটি হাট ইজারাদারের খাম খেয়ালি ও হটকারীতার কারনে এই বর্ষা মৌসুমে কাদায় পরিপুর্ন হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী কে কয়েক দফা অবগত করা হলেও তারা গত দুই মাসেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে এ রাস্তায় চলাচলকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি ঐতিয্যবাহী পুরাতন বাদিয়াখালী হাট। হাটটি গত ৩ বছর যাবত ভাল কোন ইজারদার না পাওয়ায় হাটের বিভিন্ন অনিয়মে ঐতিয্য হারাতে বসেছে। হাটের বর্তমান ইজারাদার বিএনপি দলের পরিচয়ে তার ইচ্ছা মাফিক হাটের টোল আদায় তালিকা না লাগিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে অযৌতিক টোল আদায় করছে। হাটে চলাচলের রাস্তায় দোকানপাঠ বসিয়ে টোল আদায় করে থাকেন। এমনি ভাবে হাটে ঢোকার একটি গুরত্বপূর্ন আর সিসি ঢালাই রাস্তার উপর মাটি ভরাট করে দেয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে মাটি কাদায় পরিপুর্ন হয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে কেউ কথা বললে তাদের সাথে নানা ধরনের অসভ্য আচরন করেন তারা। ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পেশায় একজন কসাই, তার কথা বার্তায় তিনি ভদ্র লোকের সাথে কসাই সুলভ আচরন করেন। একই ভাবে হাটে ঠোল আদায়ে উশৃংখল কিছু কর্মী দায়িত্ব পালন করে থাকেন । এদের অসভ্য আচরনে কেউ তাদের কাজে কোনপ্রতিবাদ করেন না। এ বিয়য়ে সচেতন মহল থেকে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান ও প্রকৌশলী মো: বাবলু মিয়াকে কয়েক দফা অবগত করার পরও তারা লোকদেখানো মোবাইল করে হাট ইজারাদারকে রাস্তার মাটি সরাতে এবং হাটে টোল আদায়ের তালিকা লাগানোর মৌখিক নির্দেশ দিলেও গত দুই মাসেও রহস্যজনক তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে সচেতন মহল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।