বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, "অজস্র শহীদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে চব্বিশের বিজয় এসেছে। শাহাদাতের এই ধারায় ছাত্র শিবিরের ত্যাগ-তিতিক্ষা অবিস্মরণীয়। এ সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অজস্র জনশক্তিকে শাহাদাতের অমীয় সূধা পান করতে হয়েছে। চব্বিশের গণ বিপ্লবেও ছাত্র শিবির অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণজোয়ারে ফ্যাসিস্ট পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখন কেউ কেউ আবার নতুনভাবে ফ্যাসিস্ট হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আবার পলাতকদের ভাষায় কথা বলছে। তাদের মতই আচরণ করছে। তারা ১০ মিনিট কথা বললে ৯ মিনিটই শিবিরের মিথ্যা সমালেচনা করে। তাদের নিজস্ব কোনো এজেন্ডা নেই। তাদের আচরণের কারণে ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে ট্রমা তৈরী হচ্ছে। মানুষ বিতৃষ্ণ হচ্ছে। নতুন ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মেনে নেয়া হবে না। আল্লাহর সাহায্যে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা যে কোনো ফ্যাসিবাদকে রুখে দিবে।"
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কেরানিহাটের উত্তরে সাতকানিয়া রিসোর্ট কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক প্যানেল স্পীকার আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। তিনি বলেন, "ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তা ষাটের দশকের আগে প্রকাশ্যে বলা সহজ ছিল না। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হতে ছাত্র সমাজের মগজে ইসলামকে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে প্রচার করে আসছে। ফলে আজ ইসলামী ছাত্র শিবির এদেশের মেধাবী মুক্তিকামী ছাত্র সমাজের মজবুত ঠিকানায় পরিণত হয়েছে।"
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা শিবিরের সভাপতি ছাত্রনেতা আসিফুল্লাহ মুহাম্মদ আরমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুহাম্মদ আসহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাইনুদ্দিন এবং ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রতিধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ। সমাবেশ উদ্বোধন করেন আহত জুলাই যোদ্ধা হাবিবুল্লাহ হামিম।
এতে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।