কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নেতৃত্বেপরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মাদক কারবারিদের ছোঁড়া গুলিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স আব্দুল হামিদ (৪০)নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের উকিলপাড়া দারোগার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আব্দুল হামিদ কে উদ্ধার করে অসংখ্য জনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সোর্স আব্দুল হামিদ কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এঘটনায় নুরুজ্জামান (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী কে ৫০ পিস ইয়াবা সহ আটক করা হয়েছে। এদিকে এঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে ফিলিপনগর দারোগার মোড়ে মাদক কারবারী নুরুজ্জামানের বাড়িতে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য,অস্ত্র মজুদ করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদেরভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় মাদক কারবারীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য ও অফিসার কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স আব্দুল হামিদ গুলিবিদ্ধ হন, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় হিরো হোন্ডা ডিলাক্স মোটরসাইকেল ৫০ পিস ইয়াবাসহ বাড়ির মালিক নুরুজ্জামান (৪৫) কে আটক করা হয় । এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো:সোলাইমান শেখ জানান, ঘটনার পরেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে একজন কে আটক করেছে এবং বাকিদের আটকের চেষ্টা চালায়। কুষ্টিয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক খবির আহমেদ, উপ-পরিচালক পারভিন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মাদক কারবারীদের গুলিতে তাদের একজন সোর্স আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এজাহার ভুক্ত আসামিরা হচ্ছে নুরুজ্জামান, রাখি ও মিঠুলাল।আসামি দের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এলাকাবাসী জানায় আটক মাদক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান এ চোরাচালানী কারবার চালিয়ে আসছে । কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে সকালে আব্দুল হামিদ নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। তবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।