রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবি

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ১২ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবি

চলনবিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া থেকে বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন,আমরা চলনবিলের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাইবো না। আমাদের প্রাণের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজা দরকার। আমরা যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই তেমনি চলনবিলও চাই। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়া নামক স্থানের পরিবর্তে যদি অন্য কোন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে,চলনবিলও রক্ষা পাবে।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় পাবনার চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চলনবিল রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব ও বাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব পাঠ করেন ডাঃ এস এম আতিকুল আলম। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,দেশের অন্যতম বৃহৎ বিল চলনবিল। চলনবিলের সুবিধাভোগি মানুষের সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। পদামা,আত্রাই,বড়াল,নন্দকূজা,গুমানীসহ সকল নদী,বিল,খাল,ক্যানেল,পুকুরসহ চলনবিলে যে পানির উৎস,এটাই চলনবিলের সৌন্দর্য্য প্রাণ-প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল জলরাশির চলনবিলের পানি যমুনা নদীতে পতিত হওয়ার একমাত্র মুখ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বৃড়ি পোতাজিয়া নামক স্থান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এই বুড়ি পোতাজিয়াতেই স্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,বুড়ি পোতাজিয়ার কিছু অংশ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। গোহালা নদীর উপর একটি ছোট স্লুইসগেট দিয়ে নদীটিকে সংকুচিত করা হয়েছে। পদ্মা,আত্রাই,বড়াল,নন্দকূজাসহ ৪৭টি নদী,১৬৩টি বিল,৩০০টির বেশি ক্যানেল ও লক্ষাধিক পুকুরের সমন্বয়ে বিশাল চলনবিলের যে জলরাশি,তা প্রবাহিত হওয়ার একমাত্র পতিত মুখে যদি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়,তাহলে হাজার বর্গকিলোমিটারের চলনবিল জলাবদ্ধতার শিকারসহ নানা রকমের বিপর্যয়ের মুথে পড়বে। উজান থেকে ভাটির দিকে চলনবিলের পানি প্রবাহ কমে গেলে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরও সংকটে পড়বে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়,বিভিন্ন সময় চলনবিলে সরকারি,বেসরকারি পর্যায়ের অপরিকল্পিত কর্মকান্ড  এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চলনবিল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন যদি বুড়ি পোতাজিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়,তাহলে এটি হবে চলনবিল ধ্বংসের সর্বশেষ পেরেক। চলনবিল হয়তো এভাবেই হারিয়ে যাবে। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজার দাবি করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই,চলনবিলও চাই।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,এ বিষয়ে ইতোমধ্যে পরিবেশ উপদেষ্টা,শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে