পিরোজপুর জেলায় উৎপাদিত জাতওয়ারী মাল্টা সংগ্রহের সময় নির্ধারন করে ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাষীরা মাল্টা পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাজারজাত করায় ভোক্তারা মাল্টার রস ও প্রকৃত স্বাদ পাচ্ছে না। এ ছাড়া সারা দেশে জনপ্রিয় পিরোজপুরের মাল্টা উপযুক্ত সময়ের আগে সংগ্রহ ও বাজারজাত করলে এর সুনাম ক্ষুন্ন হবে সে বিবেচনায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ উদ্যোগ নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাল্টা চাষী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভায় বাগান থেকে মাল্টা সংগ্রহ ও বিপণনের সময় নির্ধারন করে একটি ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রেজাউল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুনুর রশীদ, প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট এস. এম. রেজাউল ইসলাম শামীম, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক স্টাফ রিপোর্টার মুনিরুজ্জামান নাসিম, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমুখ। প্রণীত ক্যালেন্ডা অনুযায়ী বারি মাল্টা-১ সংগ্রহ করা যাবে আশ্বিন-কার্তিক মাসে, থাই মাল্টা সংগ্রহ হবে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে ও এফটিআইপি বাউ মাল্টা সংগ্রহ করা যাবে কার্তিক মাসে।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, পিরোজপুরের মাল্টা এখন সারাদেশে সমাদৃত। আমরা চাই, এই সম্ভাবনাময় ফল চাষ টেকসইভাবে এগিয়ে যাক। এজন্য মাল্টা সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি চাষীদের মেনে চলা জরুরী। যাতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় এবং ভোক্তারা মাল্টার প্রকৃত স্বাদ ও রস গ্রহন করতে পারে। জেলা প্রশাসক জানান মাল্টা চাষীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন।