সংস্কারের এক বছর না পেরুতেই

দুর্গাপুরের সিংগা-আমগাছী সড়কের বেহাল দশা

এফএনএস (মোবারক হোসেন শিশির; দুর্গাপুর, রাজশাহী) : | প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:১১ পিএম
দুর্গাপুরের সিংগা-আমগাছী সড়কের বেহাল দশা

রাজশাহীর দুর্গাপুরের সিংগা থেকে আমগাছী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে বছর পেরতেই রাস্তা কার্পেটিং উঠে মাটি বের হতে শুরু হয়েছে। বড়ো বড়ো খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে নিয়মিত পরিবহনের চাকা দেবে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। 

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানাযায়, সিংগা হাট জিসি হতে আমগাছী হাট জিসি ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মান কাজ শুরু হয় ২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি কাজ শেষ হয় ২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর। সড়কটি সাথে আরও দুটি সড়ক আমগাছী জিসি থেকে কাটা খালী ৩ কিলোমিটার ও দুর্গাপুর বাজার থেকে বেলঘোড়িয়া ৮ কিলোমিটার সড়ক প্যাকেজ আকারে  নির্মান হয়। তিনটি সড়কের সম্মিলিত  চুক্তি মূল্য ছিলো, ২৮ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫ হাজার ৭৪৫ টাকা। সড়কগুলো নির্মাণ কাজ  করেন নওগাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। 

সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সিংগা থেকে আমগাছী সড়কটির নানা যায়গায়   ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠে মাটি বের হয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নান্দোপাড়া আজমের মোড় এলাকায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাত্রাতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ট্রাকের চাকা পুঁতে গিয়ে সড়কে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।  মোটরসাইকেল,  ভ্যান, অটোরিকশা যাত্রী নামিয়ে পারাপার হচ্ছে। অনেক যানবাহন ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।  


নান্দোপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবলু  জানান, রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা দিয়ে সবুজসাথী এগ্রো ফিস ফিডে মালামাল পরিবহনের ১০ চাকা ১২ চাকার ট্রাক চলাচল করে। রাস্তায় দাড়িতে ট্রালির মাধ্যমে অনলোড করে আমরা নিষেধ করলে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। 

হাফিজুর ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর অপেক্ষার পরে রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ হয়েছে। তবে নিন্মমানের  নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে  ইঞ্জিনিয়ার দেখেছে, ঠিকাদারকে নিষেধ করেনি। 

ঠিকাদার যেমন ইচ্ছে তেমন রাস্তা করে চলে গেছে। রাস্তা দিয়ে নিয়মিত সবুজসাথী এগ্রো ফিস ফিড, আব্দুল্লাহ ফিস ফিড, সেবা ক্লোড স্টোরেজ লিমিটেডের ২০ থেকে ৩০ টনের ট্রাক চলাচল করে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ করেছে। আমরা নিষেধ করলে বলে সরকার রাস্তা বানিয়েছে পণ্য পরিবহনের জন্য । পাট পরিবহন করবো তা পারছি না মাথায় ঢোয়াতে হচ্ছে। 

ভ্যান চালক রহিদুল ইসলাম জানান, নতুন রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মনে হচ্ছে মুরগী হাচড়িয়ে রাস্তা তুলে ফেলেছে। আর কিছুদিন বৃষ্টি হলে রাস্তা ধসে যাবে। ৮ মাসে গর্ভবতী মহিলাদের কাউকে ভ্যানে নিয়ে চালালে তার গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। রাস্তা এই অংশ দিয়ে কোনো মালামাল পরিবহন করা যায় না মাথায় করে আরেক মাথায় নিতে হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার চাই।

এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক- ই-মোহাম্মদ মাসুদ জানান, রাস্তা নির্মাণে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি। গুণগত মান বজায় রেখেই রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। ওভার লোড যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ টিম দ্বারা রাস্তাটি পরিক্ষা করে, সমস্যা চিহ্নিত করে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে