লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী সীমান্তে রাতের আঁধারে আবারও ৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি জানায়, বুড়িমারী ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৮৩৮ এস এর নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে ৯৮ বিএসবাড়ি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ক্যাম্পের সদস্যরা গভীর রাতে পিলার হতে ১.৫ কি.মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাছিরবাড়ি নামক স্থান হতে বিজিবি'র টহলদলের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা এবং ২ জন শিশুসহ মোট ৯ জন বাংলাদেশী মুসলিম।
আটককৃতরা হলেন, মোশাররফ হোসেন (৫০),রাব্বি হোসেন (২৬),নাহিদ হাসান (২৪),সজীব আলী (১৬),পারভিন আক্তার (৪০), কোহিনূর নেছা (৭০),বর্ষা আক্তার (২২), রেহান হোসেন (১৮ মাস),জয়া খাতুন (৩)। এরা সবাই বাংলাদেশের নড়াইল জেলার লোহাগড়া মঙ্গলহাটা কুন্দসী গ্রামের বাসিন্দা।
প্রায় ১০ বছর পূর্বে তারা অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন এবং গুজরাট প্রদেশের শচীন এলাকায় হকারি ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে আটককৃত ব্যক্তিরা ৬১ বিজিবি'র হেফাজতে রয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রগুনায় যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হবে: পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল
হাফিজুর রহমান :
শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ নিশ্চিত করতে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ।
বুধবার (১৩ ই আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা শহরের বিভিন্ন সড়কে মানুষের হাতে হাতে সচেতনামূলক লিফটের বিতরণ করা হয়। এ লক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চাকরিপ্রার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি দেওয়া হয়েছে সচেতন বার্তা। প্রতারক চক্রে প্রতারণার ফাঁদে না জড়াতে ইতোমধ্যে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে প্রচার মাইকিং ।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো পুলিশের নিয়োগে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা থাকে, ঘুষ ছাড়া পুলিশের চাকরি হয় না। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গোপনে সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা পুলিশের চাকরি পাইয়ে দিতে শতভাগ নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থী ও পরিবারের সদস্যদের থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।
পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ বছর যাতে নতুন করে কোনো প্রতারক চক্রের প্রলোভনের ফাঁদে কেউ না জড়ায় সে লক্ষে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা পুলিশ। আর এ কারণেই বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্ক বার্তা পোস্টের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।