পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখনই সম্ভব নয়: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখনই সম্ভব নয়: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তার দাবি, উন্নত দেশগুলোর মতো কাঠামো ও গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে না ওঠায় এই পদ্ধতি দেশে টেকসই হবে না।

বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভীর মতে, গণতান্ত্রিক চর্চা দৃঢ় করার আগে পিআর ব্যবস্থা প্রবর্তন জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং এতে কোনো স্বচ্ছতা থাকবে না।

তিনি বলেন, "আমরা এখনও উন্নত দেশগুলোর পর্যায়ে পৌঁছাইনি। গরিব অর্থনীতিতে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না। আগে গণতান্ত্রিক অনুশীলন বাড়াতে হবে, তবেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার সম্ভব।"

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামে ভাইরাল হওয়া এক চিকিৎসকের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রিজভী দাবি করেন, ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি। বরং নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তার অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নাকে রং লাগিয়ে লাইভে এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।

রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান রিজভী। তিনি বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, জনকল্যাণমূলক বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে কেউ যেন বেআইনিভাবে প্রাণ না হারায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।

দেশে "মব কালচার" চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। তার ভাষায়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।

রিজভী আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফারমার্স ব্যাংকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। পরে ব্যাংকটির নাম বদলে পদ্মা ব্যাংক করা হলেও সেই অর্থের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এসব অর্থ উদ্ধারে সরকারের আন্তরিকতা থাকা উচিত।

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে রিজভী জানান, দলের বা অঙ্গ সংগঠনের নামে অপরাধের প্রমাণ মিললেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে