বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে, যা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে আবারও বৃষ্টি বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা, কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং দুপুরে বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। একই দিনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি তুলনামূলক বেশি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, “আজকের বৃষ্টি মূলত মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে লঘুচাপের মিলিত প্রভাবে হচ্ছে। তবে লঘুচাপ দুর্বল এবং উপকূলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না।”
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু স্থানে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও সতর্কসংকেতের কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে, ৯৮ মিলিমিটার।