ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে পুনরায় আমদানি রপ্তানি শুরু

এফএনএস (সরকার আবদুর রাজ্জাক; বকশীগঞ্জ, জামালপুর) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০৮ এএম
ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে পুনরায় আমদানি রপ্তানি শুরু

দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর। ভারতের সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে পুনরায় পণ্য আমদানি রপ্তানি  শুরু হয়েছে।

 ২২ ডিসেম্বর প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে ২০টি পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশ ভূখন্ডের এই বন্দরে প্রবেশ করে। ২৩ ডিসেম্বর  বন্দর থেকে শুল্ক কর্মকর্তাদের তদারকিতে ট্রাক গুলো খালাস করা হয়।

প্রথম দিনে প্রতিটি ট্রাকে ১২ মেট্রিক টন করে ২০ টি ট্রাকে ২৪০ মেট্রিক টন পাথর বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এখন থেকে সরকারি ছুটির বাইরে প্রতিদিন পাথর আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা।

জানা গেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ  ভারত থেকে আমদানিকৃত পাথর পরিমাপ ও ওয়েট মেশিনে ওজন বেশী করার প্রতিবাদে ওই স্থলবন্দরের আমদানি কারকরা আর্থিক লোকশানের ভয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেন।

দীর্ঘ ৬ মাস ওই স্থলবন্দরে আমদানী রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে ব্যবসায়ী মহল। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানি কারকদের মধ্যে কয়েক দফা দেন বরবার ও মতবিনিময়ের পর এই বন্দর দিয়ে পুনরায়  পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় কর্ম ব্যস্ততা বাড়ছে বন্দরের ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতি ও শ্রমিকদের মধ্যে।

 স্থানীয়রা জানান, পূর্বের মত চাঁদাবাজী ও শুল্ক ফাঁকির কারনে পুনরায় যেন বন্দরে আমদানি রপ্তানী কার্যক্রম  বন্ধ  না হয় সেদিকেও খেয়াল করে ব্যবসা বাণিজ্য করা উচিত।

ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ জানান, দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় আগের মতই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বন্দরের কার্যক্রম। বেকার শ্রমিকরাও পুনরায় কাজে ফিরবে এবং ব্যবসায়ীরাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। সরকারও পাবে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।

আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি  গোলাম রসুল সেতু জানান, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর দিয়ে ৩৪ টি পণ্য আমদানি রপ্তানির  অনুমোদন থাকার পরও শুধুমাত্র পাথর আমদানি করা হয় এই বন্দর দিয়ে। তিনি দেশের আমদানি-রপ্তানীকরক ও ব্যবসায়ীদের এই বন্দর দিয়ে পাথর ছাড়াও  অন্যান্য পর্ণ সামগ্রীর ব্যবসা করার আহবান জানান।

 বন্দরের শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন এই  বন্দরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আবারও পাথর আমদানি  শুরু হয়েছে । আশাকরি এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আপনার জেলার সংবাদ পড়তে