ফুলবাড়ীয়া

দুই পা হারিয়ে শূন্য হাতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরৎ

এফএনএস (মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ; ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:২০ এএম
দুই পা হারিয়ে শূন্য হাতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরৎ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের স্থায়ীবাসিন্দা দু’চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন যুবক আলমগীর হোসেন (৩৭)। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে আসার আগেই সৌদী আরবে এক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই পা হারান তিনি। দুই পা হারিয়ে শূন্য হাতে সৌদী আরব থেকে দেশে ফেরা আলমগীর তিন শিশু পুত্র, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে এখন তার জীবন চলছে দুঃসহ যন্ত্রনায়। 

আলমগীর হোসেনের বাড়ী ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ফুলবাড়ীয়া পৌর সদরের ৩ নং ওয়ার্ডে। ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই তার। এক বছর আগের তার পিতা আবু বকর সিদ্দিক মারা যান। ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট এক দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা খরচ করে আলিফ দা কোম্পানীতে ক্লিনার হিসাবে কাজ করার জন্য সৌদি আরব যান আলমগীর হোসেন । ২ বছর অফিস ক্লিনারের কাজ করেন আল রাজে কোম্পানিতে। গত ২১ অক্টোবর রাত ১ টার দিকে সিলেটের হবিগঞ্জের রতন মিয়া নামে তার বন্ধুকে নিয়ে একটি  প্রাইভেটকারে করে রিয়াদ ফিরছিলেন। মোজাম্বিয়া মক্কা হাইওয়ে রোডে প্রাইভেটকারটির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। আলমগীর ও তার বন্ধু রতন প্রাইভেটকারটি স্টার্ট দেয়ার জন্য পেছনে ধাক্কা দেয়ার সময় অপর একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকার পেছন দিক দিয়ে তাদের সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই রতন মিয়া মারা যান। মারাত্নক আহত আলমগীর হোসেনের ১ মাস ২৪ দিন চিকিৎসা চলে  প্রিন্স আব্দুল আজিজ সরকারী হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালে তার দুই পা কেটে ফেলা হয়। 

গত ৯ ডিসেম্বর আলিফ দা কোম্পানী তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। আল রাজে কোম্পানিতে ক্লিনার হিসাবে কাজ করা ১ মাস ১৫ দিনের টাকা বকেয়া রয়েছে এখনো। তারা কোন খোজ খবর নেয়নি। আলমগীর হোসেন জানান, বাড়ী ভিটা ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। আমার অপর ভাই মাসুম মিয়া মুদি দোকানদার। রুহান (৮), রিহান (৬) ও রাহিম (৩) নামে তিন শিশু সন্তান সহ স্ত্রী ও মাকে নিয়ে আমার সংসার। কেমনে সংসার চলবে তার কোন উপায় খোজে পাচ্ছি না। এখন আবার একটি কাটা পায়ে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। সরকারীভাবে যেকোন সহযোগীতা আমার জন্য এখন খুব জরুরী। আলমগীরের মা রোকেয়ার বেগম, স্ত্রী রোমা আক্তার  ।


আপনার জেলার সংবাদ পড়তে