রাজারহাটে সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাফিলতির কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ

এফএনএস (প্রহলাদ মণ্ডল সৈকত; রাজারহাট, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
রাজারহাটে সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাফিলতির কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামের  রাজারহাট বাজার হতে হাসপাতাল যাওয়ার সড়কটির মাত্র ২০০ফিট কার্পেটিং কিংবা আরসিসি না হওয়ায় ১০কিলোমিটার সড়কে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাফিলতির কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। বিষয়টি বেশ কয়েক বার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।

জানা যায়, উলিপুর থেকে রাজারহাট-সেলিমনগর সড়কটি এক সময় এলজিইডির আওতায় ছিল। কয়েক বছর আগে ৩০কিলোমিটার এই সড়কটি হাইওয়ে রোড এক্সচেঞ্জ অথরিটি(সড়ক ও জনপদ) বিভাগের আওতায় চলে যায়। তারা সড়কটির সংষ্কারও করেন। কিন্তু রাজারহাট তিস্তা রেল ক্রসিং হতে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাওয়ার সড়কটির মাত্র ২’শ মিটার সংষ্কার কাজ করেনি। ফলে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়। এমনকি সামন্য বৃষ্টিপাতে কাদায় ভরে যায়। হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা-যাওয়া চরম কষ্ট পোহাতে হয়। এছাড়া স্কুল -কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নানা দূর্ভোগের শিকার হয়। রাজারহাট হতে সেলিম যাওয়ার সড়কটির শুরুতেই এই অবস্থা হওয়ায় পথচারী, অটোরিক্সা, বাস, ট্রাক ও রোগী আনা-নেয়ার এ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়। ফলে রোগী নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন রোগীর অভিভাবক। হাসপাতাল যেতে দুই মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে আধাঘন্টা। রাতের অন্ধকারে ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই সড়কটি  উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।  এই সড়ক দিয়ে  সরকারী হাস পাতাল, কলেজ, ক্লিনিক ও পার্শ্ববর্তী জেলার লালমনিরহাটে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। তাই ভূক্তভোগী পথচারীরা এই সড়কটির দ্রুত মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি  জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে শুক্রবার(১৫আগষ্ট) উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ বলেন- রাজারহাট-সেলিমনগর সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায়। আমাদের এলজিইডির আওতায় নয়। তারপর আমি এই দু’শ মিটারের জন্য আরসিসি বরাদ্দ চেয়েছি। বরাদ্দ আসলেই দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে এবং পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘব হবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে