সেনা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত ও নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা সোমবারের মতো ক্ষুব্ধ। তারা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আট দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তা নিতে পারেননি। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা অপেক্ষা করলেও কর্তৃপক্ষের কেউ স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি।
দুপুর দেড়টার দিকে স্কুলের একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমার মামা লিয়ন মীর অভিযোগ করেন, “আমরা আমাদের সন্তানদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই স্মারকলিপি নিয়ে এসেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেননি।”
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, সারাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা, নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাক্রমে ৫ কোটি ও ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জরিমানা, রানওয়ে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন, কোচিং ব্যবসার মূলহোতা প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণ এবং স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রদর্শনের অনুরোধ। এছাড়া, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনহীন স্থানে করার দাবি তুলেছেন পরিবারগুলো।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, অভিভাবকরা একসাথে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করায় স্মারকলিপি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল জাগো নিউজকে বলেন, “আমরা তাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে স্মারকলিপি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হট্টগোল তৈরি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবির প্রতি সহমর্মী এবং তা পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নিহত ও আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে দেখা প্রয়োজন। স্কুলের আচরণে পরিবারগুলো হতাশ, এবং তারা আশা করছেন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে তাদের দাবি মেনে নিরাপত্তা ও ন্যায্যতার নিশ্চয়তা দেবে।