গাইবান্ধায় নজরুল ইসলাম নজির (৩২) নামে এক জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের একটি বিলের পাশের ফাঁকা মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহত নজরুল শীতলগ্রাম কানিপাড়ার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় বিকাশ ব্যবসায়ী এবং জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাকাই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন বিলের ধারে ফাঁকা জমিতে এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তারা কাছে গিয়ে দেখেন গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলিশকে খবর দেন।
এলাকাবাসীর ধারণা, সমপ্রতি যৌথ বাহীনির অভিযানে গোবিন্দগঞ্জে কয়েকজন হ্যাকার ধরা পড়েন। এই হ্যাকারদের ধারণা, নজরুলের দোকান থেকে বিকাশ, নগদে টাকা লেনদেনের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তথ্য পেয়েছে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে নজরুলকে গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে।
নিহতের বড় ভাই নাজিরুল ইসলাম জানান, নজরুল শীতল গ্রামের বাজারে মুদি দোকানের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন। তিনি মাঝে মধ্যে দোকানেই রাত কাটাতেন। হ্যাকাররা প্রায়ই তার দোকান থেকে টাকা লেনদেন করতে আসতেন। নজরুল হ্যাকারদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে টাকা লেনদেন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণেই নজরুলকে তারা হত্যা করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “বিকাশ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”