কালীগঞ্জে কমিটি ছাড়াই চলছে থানা বিএনপি রাজনীতি

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
কালীগঞ্জে কমিটি ছাড়াই চলছে থানা বিএনপি রাজনীতি

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা বিএনপি কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ের কমিটি ছাড়াই চলেছে বিএনপির সকল কার্যক্রম। এ কমিটি কবে গঠন হবে স্থানীয় কোন নেতাই বলতে পারছে না।আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কালীগঞ্জের সংসদীয় আসনে প্রভাব বিস্তার রাখতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্ট আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।ব্যক্তি স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দ্বন্দে ছড়িয়ে পড়েছে দলীয় কোন্দল।মূল দল থেকে শুরু করে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি স্তরে রয়েছে গ্রুপিং। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে অন্তদ্বন্দে জড়িয়ে পড়ছেন। স্বার্থে টান লাগলেই একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হচ্ছেন।শুধু তৃণমূল নয়, নেতাদের মধ্যে এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,দল পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অভ্যন্তরীণ কোন্দল। দলীয় কোন্দল নিরাসনের একমাত্র উপায় থানা বিএনপির কমিটি গঠন হলে নতুন কমিটি কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে।

বিগত ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর আলহাজ মাহবুবার রহমান কে আহবায়ক করে কালীগঞ্জ থানা বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় থেকে এ আহবায়ক কমিটি প্রথমে দুই ভাগ পরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে কালীগঞ্জের বিএনপির রাজনীতি। শুরু হয় লবিং গ্রুপিং একে অপরের বিরুদ্ধে কুতসা মন্তব্য আধিপত্যা বিস্তার করা নিয়ে চলছে খুন, জখমসহ নানা ধরনের ঘটনা। বিশেষ করে ২০১৯ সাল থেকে আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল বিএনপির রাজনীতি কিন্তু ১/৬/২৫ ইং তারিখে কালীগঞ্জে উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নের দু,গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘর বাড়ি ভাংচুর,লুটপাট ও আপন দুই ভাই ইউনুচ আলী, মহব্বত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সভাপতি/সাধারন সম্পাদকের নির্দেশ ক্রমে দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ জোয়াদ্দার স্বাক্ষরিত প্রেস বিঙ্গপ্তিতে ১২/৬/২৫ তারিখে কালীগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয় এবং কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক ডাঃ নুরুল ইসলাম,বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ হোসেন কে দলীয় সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। কালীগঞ্জ বিএনপির আভ্যান্তরীন কোন্দলের কারনে যারা মারা গেছে তা হলেন তালিয়ান গ্রামের মহব্বত আলী ও তার ভাই ইউনুচ আলী,দিঘীরপাড়া গ্রামের দুই চাচাতো ভাই মোশারফ হোসেন ও নাহিদ ইসলাম,মালিয়াট গ্রামের নায়েব আলী। এ ৫ জনই বিএনপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন ও বিএনপির প্রতিপক্ষের হাতেই তাদেরকে হত্যা করা হয়।বিশেষ করে কালীগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি না থাকায় লবিং গ্রুপিং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু না হতেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রাম এলাকায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিভক্তি প্রকাশ্যে আসছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে। 

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ এম এ মজিদ বলেন,নতুন করে পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি দেওয়ার কাজ চলছে। অচিরেই এ কমিটি ঘোষনা করা হবে। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন,কেন্দ্র কমিটির নির্দেশেই কালীগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়। কেন্দ্র কমিটির নেতারা নির্দেশ দিলেই নতুন করে কালীগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করে ঘোষনা দেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে