নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। জনবহুল এ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা সর্বদা দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সময় পার করেন। ১৭ আগস্ট রাতে হঠাৎ শহরের গোয়ালপাড়া কলাহাটি এলাকায় পৌরসভার জায়গা দখল করে কতিপয় ব্যক্তি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। এমন খবর পেয়ে পৌরসভার কর্মচারি সুজন শাহ ও মোকছেদ আলী ঘটনা স্থানে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে তাদেরকে দখলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে দখলকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায় পৌর কর্মচারি সুজন শাহ ও মোকছেদকে দখলকারিরা এলোপাতারি মারপিট করে। লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। পরে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি কলেজের ভর্তি করায়। বর্তমানে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তৃতীয় তলায় দুই নম্বর কেবিনে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে আহতরা।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ১৮ আগস্ট পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারি কর্মবিরতী পালন করে। তারা পৌরসভার সামনের সড়ক অবরোধ করে সেখানে বসে পড়েন। কয়েক ঘন্টাব্যাপী কর্মবিরতী পালনকালে সেখানে বক্তব্য দেন,বাংলাদেশ পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারি এসোসিয়েশন সৈয়দপুর শাখার সভাপতি আবু তাহের, পৌর প্রকৌশলী আব্দুল খালেক,কর্মচারি মাসুম বসুনিয়া, নাদিম আহমেদ,সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবুসহ অনেকে। তারা দ্রুত সময়ে ওই সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় বড় ধরনের আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।