প্রধান উপদ্রেষ্টার নির্দেশনায় আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবে নির্বাচন কমিশন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্যাগী ক্লিনইমেজ,শিক্ষিত,ও জনপ্রিয় প্রার্থী খুজে বের করতে জরিপ চালাচ্ছে বিএনপি। ভালুকা আসনে বিএনপির যে ক,জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে তৃতীয় ধাপে জরিপে আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলম জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আনন্দোল সংগ্রামে নেতাকর্মীকে ঐক্যব্ধ করে সামনের সারিতে থেকে প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন। বিএনপির রাজনীতে তার কোন বিরতী বা ক্লান্তি নেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষে উপজেলার হাট বাজার ও গ্রাম গঞ্জে প্রতিনিয়ত মিছিল মিটিং করে ৩১ দফার সুফল তুলে ধরছেন। এছাড়াও তিনি সৎ মেধাবী ধনাট্য একজন ব্যাক্তি। উপজেলার মসজিদ,মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং গরীব,অসহায় ও অসুস্থ্যদের আর্থিক সহায়তা করে উপজেলার মধ্যে একজন দানবীর ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উপজেলায় মহিলাদের একজন প্রিয় মানুষ। কারন প্রতি ঈদে উপহার হিসেবে শাড়ী,চাউল,ডাল,তেল,চিনি,সেমাই,সাবান সহ ঈদ সামগ্রী মহিলাদের দিয়ে থাকেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ছাত্রদল দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং দীর্ঘ সময় দলের বিভিন্ন পদ বহন করে দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে ৫ আগষ্টের পর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের জড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রিয় কমিটি বাচ্চুকে দল থেকে বহিস্কার করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলমকে। মুর্শেদ আলম দায়িত্ব নেয়ার পর দলের ভিতর কোন্দল ও বিশৃংখলা মিটিয়ে শৃংখলা ফিরিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সমাবেশ করে চাঁদাবাজি,জমিদখল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নেকাকর্মীদেরকে কঠোর হুশিয়ারী করেন। অন্যথায় দল থেকে বহিস্কার করার ঘোষনা দেন। এতে চাঁদাবাজি,জমিদখল বন্ধসহ দলের মধ্যে শৃংখলা ফিরে আসে। পাশাপাশি উপজেলার সাধারন মানুষ তার ঘোষনাকে স্বাগত জানায়। ২০১১ সালে উপজেলার শিল্প এলাকা হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ২০১৪ সালে দলের মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে ছিলেন। ওই নির্বাচনে ভালুকা উপজেলার বিএনপির সভাপতি ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর নির্দেশে দলের কিছু নেতা দলীয় প্রার্থী মুর্শেদ আলমের বিপক্ষে থানা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তুফার পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনে ভোট চেয়েছেন। এবপরও নির্বাচনে মুর্শেদ আলম ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। কিন্তু রাত ২টার পর প্রসাশন ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে আ,লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করেন। তিনি একজর ক্লিন ইমেজ,শিক্ষিত ও জনপ্রিয় মানুষ। উপজেলার ভোটারদের বিবেচনায় মুশের্দ আলম জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল মুর্শেদ আলমকে মনোনয়ন দিলে (ধানের শীষ প্রতীক) ১৯৯৬ সালে বিএনপির হারানো আসনটি উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।