রামুতে সন্ত্রাসী হামলায় পাকস্থলীর খাদ্যনালী ছিড়ে গেছে যুবকের। অপারেশন করা হলেও হোসেন মো. এরশাদ (৩০) নামের ওই যুবকের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। বুধবার, ১৩ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান বাজারের পাশে নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের মোড়ে মনজুরের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার হোসেন মো. এরশাদ জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তর মিঠাছড়ি চা বাগান এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আমির হোসেনের কনিষ্ট ছেলে।
এরশাদের বড় ভাই আব্দুল হালিম জানান- তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে ১ নাম্বার ওয়ার্ডের উত্তর মিঠাছড়ি এলাকার জাফর আলমের ছেলে নুরুল আবছারের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ হামলা চালায়। হামলাকারিরা এরশাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি, কিল-ঘুষি এবং লাটি-সোটা আঘাত করে মূমূর্ষূ অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ওইদিন রাতে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন, ১৪ আগস্ট কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেও অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন উপূর্যুপুরি হামলায় এরশাদের পাকস্থলীর ৩টি স্থানে খাদ্যনালী ছিড়ে গেছে। শুক্রবার, ১৫ আগস্ট এরশাদের শরীরে অস্ত্রোপচার হলেও এখনো তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
আবদুল হালিম আরও জানান- হামলার পর থেকে এখনো এরশাদ কথা বলতে পারছেনা। ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার পরিবার আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। হামলার পর থেকে হামলাকারি সন্ত্রাসী নুরুল আবছার ও তার সহযোগিরা আত্মগোপনে রয়েছে। ভাইয়ের জীবন রক্ষায় পরিবারের সদস্যদের এখানে পর্যন্ত হাসপাতালে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। এ কারণে থানায় এখনো মামলা করতে পারেননি। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি এ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য রামু থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান জানিয়েছেন- এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আক্রান্ত যুবকের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করলে মামলা নেয়া হবে।