রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় ভগবানপুর গ্রামে হিন্দু পল্লীতে এক প্রতারকের হাত থেকে বাঁচতে চায় কয়েকটি পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যা হলেই এলাকার নেমে আসে আতংক। জানা গেছে উক্ত গ্রামের হিন্দু পাড়ায় মৃত ভোলানাথ এর ছেলে পবিত্র চন্দ্র বর্মন (৪০) তার প্রতিবেশী মৃত নগেন্দ্র নাথ এর ছেলে সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের নিকট একই মৌজায় ২৭ শতাংশ জমি বিক্রি করলেও গত ৭ বছরে দলিলের নামে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছে। সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের লোকজন কে মারপিট করতে পবিত্রগংরা প্রতি রাতেই লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে অই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পবিত্র চন্দ্র বর্মন মাঝে মধ্যেই এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ইতিপূর্বে বড় ভগবানপুর গ্রামের সন্তোষ বর্মন ওরফে (মংলা) এর ছেলে অন্তর বর্মন পবিত্র চর্ন্দের কাছ থেকে এক বছর পুর্বে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা পরিশোধ করতে গেলে সুদে আসলে ২০ হাজার টাকা দাবি করে পবিত্র। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে অভিমানে অন্তর বর্মন কীট নাশক পান করে। চিকিৎসার পর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সে বেচে যায়। সুদের ১০ হাজার টাকা জন্য অন্তরের মা বৃদ্ধাকেও মারপিট করে পবিত্র চন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, চতরা ইউনিয়নের এক শিক্ষকের কাছে ২ লাখ টাকা ধার নিয়ে সুদের ব্যবসা করে। এ সংবাদ পেয়ে সেই ধারের টাকা ফেরত নিতে অনেক দেনদরবার করতে হয় তাকে। পবিত্র চন্দ্র বর্মন এলাকার বিচার সালিশও মানছে না। হিন্দু পাড়ায় জমি বিক্রির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘের আশংকা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পবিত্র চন্দ্র বর্মন বলেন-জমি নিয়ে আমাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে, যে কারনে এটি মিটমাট হচ্ছে না। জমি ক্রেতা সন্তোষ চন্দ্র বর্মন জানান, গত ৭ বছর আগে ২৭ শতাংশ জমি বাজার মূল্যে বিক্রি করে আমার কাছে পবিত্র চন্দ্র। আমি সেই জমি চাষাবাদ করে আসছি। পবিত্র চন্দ্র জমির টাকা আত্নসাত করার পায়তারার বিষয়টি পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। মীমাংসার জন্য গ্রামের লোকজন অনেক বার বসলেও পবিত্র চন্দ্র মিমাংসায় বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। বরং উল্টো জমি দলিল করে না দিয়ে আমার নিকট হইতে জমি দাবি করছে। চতরা ইউপি সদস্য আনিছার রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বলেন, পবিত্র চন্দ্র বর্মন একটা বাজে প্রকৃতির ছেলে এবং সে টাউট। জমি বিক্রির বিষয়টি ইতিপূর্বে বৈঠক এর মাধ্যমে আমরা ৭ লাখ টাকায় মিমাংসা করে দিয়েছি। ৩’শ টাকার স্টাম্পের ওপর সে নিজেও স্বাক্ষর করেছে। তারপরও ওই বিচার সে মানছে না। পীরগঞ্জ থানার এ এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে পবিত্র চন্দ্র নিজেই থানায় অভিযোগ দেয় এবং তদন্ত কালে সে নিজে ও তার পরিবারের লোকজন জমি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছে।