বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হরেকৃষ্ণ অধিকারী একটি স্বার্থান্বেষী মহলের আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, দায়িত্ব পালনকালে সরকারি আইন-কানুন মেনে উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় একটি পক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বদনাম করতে চাচ্ছে।
ইউএনও জানান, যোগদানের পর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তার কাছে অনেকে এসেছেন। কিন্তু সব দাবি বাস্তবতার নিরিখে পূরণ সম্ভব না হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে নানা দফতরে অভিযোগ করেছেন। সরকারি অর্থ ব্যয় ও কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও কিছু ব্যক্তি তা মানতে চাননি। রাজনৈতিক বিভাজন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি মহল তার বদলির পর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলার সর্ববৃহৎ বিজয় দিবস উদযাপন, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও কনসার্ট আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজনে একটি সংগঠন র্যাফল ড্র’র আয়োজন করলেও সংগৃহীত অর্থ তাদের পুরস্কার ব্যয়েই শেষ হয়ে যায়, মূল অনুষ্ঠানে সহায়তা করতে পারেনি।
এডিবি, পিআইসি, আরএফকিউ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিউবওয়েল বিতরণ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দির-শ্মশানে বরাদ্দ, ত্রাণ বিতরণসহ সকল কাজ স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন ইউএনও।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগও ওপেন লটারির মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি সুপারিশকে প্রাধান্য না দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বলে দাবি করেন ইউএনও হরেকৃষ্ণ অধিকারী।
তিনি বলেন, “সরকারি অনুদান কোন নির্দিষ্ট গ্রুপের হতে পারে না। সমবন্টনের নীতি মেনে কাজ করায় কিছু লোক ক্ষুব্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাজের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করছে।”
জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুর রহমান ও এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোপেন মজুমদার বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম যথাযথ নিয়মে করা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতিগণের মধ্যে যথাক্রমে ইউপি সদস্য চান মিয়া, শহিদ শেখ, আইয়ুব আলী মীর, এস, এম বাদল, হাসিয়ানুর ও রাফেজা আক্তার দাবি করেন, সবগুলো প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।