দিনাজপুরের বিরলে সদ্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী’র ডিলারশীপ নেয়ার সময় ২ জন ডিলারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে ডিলারশীপ পাওয়ার অভিযোগ দায়েরের পরও অভিযুক্ত ডিলার কর্তৃক চাল বিতরণ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া বাজারের মেসার্স শোভন ট্রেডার্স ও ৭ নং বিজোড়া ইউনিয়নের মেসার্স শিশির ট্রেডার্স এন্ড এগ্রো এর প্রোপাইটরগণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই নির্ধারিত স্থান ছাড়াই পার্শ্ববর্তী অন্যস্থানে চাল বিতরণে অভিযোগকারীদের মাঝেচরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঠিক যেদিন খাদ্য উপদেষ্টা দিনাজপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ওই একই দিনে অভিযুক্ত ডিলারগণ কর্তৃক উপজেলা খাদ্য বিভাগ এ চাল বিতরণ সম্পন্ন করে। তাই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কী আগেরমতই ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় চলবে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রম, না-কি স্বচ্ছতাও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হবে?
লিখিত অভিযোগে মেসার্স শোভন ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর আলহাজ্ব মোঃ তোবারক হোসেন ও মেসার্স শিশির ট্রেডার্স এন্ড এগ্রো এর প্রোপাইটর মোঃ নুর ইসলাম এর স্থানীয় বাজারে কোন দোকানঘর ছাড়াই সদ্য তৈরিকৃত কাগজপত্রের মাধ্যমে যার বাস্তবে কোন অস্তিত্বই নেই এমন প্রতিষ্ঠান ডিলারশীপ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অস্ত্বিবিহীন প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে কোন উপায়ে যোগ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন তা অনেকেরই বোধগম্য নয়। মোঃ তোবারক হোসেন পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি সদ্য “মেসার্স শোভন ট্রেডার্স” নামে প্রতিষ্ঠানের নাম তৈরি করে চুক্তিপত্র দেখিয়ে তথ্য গোপন করে ব্যাক্তি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ডিলারশীপ গ্রহণ করেছেন। তবে কাজিপাড়া বাজারে তার জীবনে কখনও নিজস্ব বা ভাড়ায় কোন দোকান ঘর নিয়ে ব্যবসা করেছেন বলে স্থানীয়দের কেউ জানাতে পারেননি। তিনি অন্যজনের একটি ভ্যাটেরিনারী দোকান ঘর ফরমালিটিস মেইনটেইন করার জন্য চুক্তিপত্র তৈরি করেন এবং বর্তমান ভ্যাটেরিনারী ঘরটি নিজের বলে তথ্য প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে কাজিপাড়া গ্রামের মোঃ শাহাজদ্দীন এর ছেলে আজাহারুল ইসলাম (ধলু) গত ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে, উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের কাঞ্চন বাজারের মেসার্স শিশির ট্রেডার্স এন্ড এগ্রো এর প্রোপাইটর মোঃ নুর ইসলাম এর স্থানীয় বাজারে আলহাজ্ব আব্বাস আলী সুপার মার্কেটে কোন দোকানঘর ছাড়াই সদ্য তৈরিকৃত কাগজপত্রের মাধ্যমে ডিলার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা অবাক হয়। অস্তিত্ববিহীন এ প্রতিষ্ঠানকে কোন উপায়ে অযোগ্য তালিকা হতে যোগ্য তালিকায় উত্তীর্ণ করে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে প্রশ্ন তুলেন অনেকে। এ বিষয়ে অপর আবেদনকারী মেসার্স তানভির ট্রেডাস এর প্রোপাইটর মোছাঃ তানজিনা বেগম ও মেসার্স জবা, জুথি, জারা ট্রেডার্স, এর প্রোপাইটর মোঃ জুলফিকার আলী স্বাক্ষরীত আবেদনপত্রের মাধ্যমে গত ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তিনি কোন প্রতিকার না পাওয়ায় দিনাজপুরের বিরল সহকারী জজ আদালতে ৫৫/২৫ অন্য নং মামলা দায়ের করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান। তদুপরী নির্ধারিত দোকানঘর ছাড়াই চাল উত্তোলনপূর্বক বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগকারী।