বরিশালের মুলাদীতে পুলিশের পোশাক ও পরিচয় দিয়ে এক গৃহবধূকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের চরনাজিরপুর গ্রামের মন্টু সিকদারের বাড়ি থেকে তার পুত্রবধু জান্নাত আক্তারকে (১৮) অপহরণ করা হয়। এঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মিরাজ সিকদার বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মুলাদী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। জান্নাতের অপহরণের সঙ্গে তার মা নাজমা বেগম জড়িত রয়েছেন বলে দাবি মিরাজের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন মুলাদী সদর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মৃত সেকান্দার ঘরামীর মেয়ের সঙ্গে চরনাজিরপুর গ্রামের মন্টু সিকদারের ছেলে মিরাজ সিকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ৫ আগস্ট মিরাজ তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান।
মিরাজ সিকদার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে ৬জন লোক থানা পুলিশ পরিচয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। তাদের ৬জনের পুলিশের পোশাক ছিলো এবং ১জন নারীও ছিলেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে জান্নাতের মা নাজমা বেগমও ছিলেন। পরে পুলিশের লোকজন জান্নাতের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা দেখতে চান। কাবিননামা দেখানোর পরে তারা জান্নাতকে থানায় যেতে হবে বলে জানায়। রাতে না গিয়ে সকালে থানায় হাজিরের প্রস্তাব দিলে তারা জোড়পূর্বক জান্নাতকে বাইরে বের করেন। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দিতে নিষেধ করে সবাইকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান তারা। পরে ওই লোকগুলো জান্নাতকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান।
বুধবার সকালে মিরাজ স্ত্রীর সঙে যোগাযোগ করতে মুলাদী থানায় গেলে ভুয়া পুলিশের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে স্ত্রীর অপহরণের বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
মিরাজ সিকদার আরও বলেন, 'তার স্ত্রী জান্নাতকে অপহরণের পর থেকে শাশুড়ি নাজমা বেগমের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।'
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশ কোনো অভিযানে যায়নি। ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে গৃহবধূ জান্নাত আক্তারকে অপহরণ করা হতে পারে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।