বরিশালের মুলাদীতে গৃহবধূকে নিয়ে পালানোর সময় এক যুবককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কায়েতমারা গ্রামের ঝুটপট্টি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক যুবক রবিন সরদার (২০) উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ গ্রামের জামাল সরদারের ছেলে। তিনি সিলেটের সুনামগঞ্জে একটি বিরিয়ানীর দোকানে চাকুরি করেন। গত ৩১ জুলাই টিকটকের মাধ্যমে চরকালেখান ইউনিয়নের কায়েতমারা গ্রামের কালাম ওরফে কালু হাওলাদারের মেয়ে তানজিলা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং ওই মেয়ে মোবাইল ফোনে তাকে এলাকায় ডেকেছেন বলে দাবি করেন রবিন। তবে তানজিলা আক্তার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
কায়েতমারা এলাকার গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আব্দুল মালেক জানান, গত ২৬ জুলাই তানজিলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরমালিয়া গ্রামের জয়নাল সরদারের ছেলে আরিফ হোসেনের বিবাহ হয়। ৫/৬দিন আগে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা তানজিলাকে একজন অপরিচিত যুবকের সঙ্গে দেখে দুজনকে আটক করেন।
আটকের পরে যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়। পরে যুবক রবিন দাবি করেন, তানজিলা নিজের বিবাহের বিষয়টি গোপন করে টিকটক করেন। প্রায় ২০ দিন আগে তার সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। পরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হয়। কয়েকদিন ধরে তানজিলার মোবাইল ফোন হাতছাড়া হওয়ায় তিনি আরেকটি মোবাইল নম্বর থেকে রবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রবিনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে মঙ্গলবার তাকে এলাকায় ডাকেন তানজিলা। মঙ্গলবার দুপুরে রবিন সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি কায়েতমারা এলাকায় যান। দিনের বেলা তানজিলা ব্যস্ততা দেখিয়ে সময় ক্ষেপন করে রাতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাতে তারা দুজন স্থানীয়দের হাতে আটক হন।
চরকালেখান ইউপি সদস্য রাসেদ ব্যাপারী বলেন, রাতে দুজনকে আটক করে অভিভাবকদের সংবাদ দেওয়া হয়। পরে মেয়েটিকে রাতেই তার বাবা-মার কাছে দেওয়া হয়েছে। যুবকের অভিভাবক না পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা ওয়ার্কার্স পাটির সদস্য মো. ফারুক আকনের জিম্মায় কাছে রাখা হয়েছিলো।
যুবকের বাবা জামাল সরদার বলেন, তার ছেলেকে আটকে রেখে ফারুক আকন ও তার লোকজন ১ লাখ টাকা দাবি করেন। বুধবার বিকেলে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ফেরৎ পেয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা ফারুক আকন বলেন, আটক যুবককে সারা রাত ও দিন পাহারা দিতে স্থানীয় যুবকদের পরিশ্রম হয়েছে। ওই পারিশ্রমিক বাবদ ১ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু যুবকের অভিভাবকেরা তা দিতে না পারায় ১৫ হাজার টাকা পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।