তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার রিভিউ শুনানি ২৬ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম | প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার রিভিউ শুনানি ২৬ আগস্ট

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিতে করা একাধিক রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট)। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রাথমিক শুনানিতে এই আদেশ দেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির গণমাধ্যমকে জানান, ওইদিন আপিল বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দায়ের করা হয় এবং চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রথম দফার শুনানি সম্পন্ন হয়।

শুনানিতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এই রিভিউ আবেদনের অন্যতম উদ্যোক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এছাড়া, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পৃথকভাবে আবেদন করেছেন। আদালত জানিয়েছে, সবগুলো আবেদন একত্রে শুনানি হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রথম যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ২০০৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। একই বছরের ৩ জুলাই সংশোধিত আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করে বাতিল করেন। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক তীব্র হয়।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন আপিল বিভাগের রায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণেই নয়, বরং দেশের সাংবিধানিক কাঠামোতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দৃষ্টি সকলের সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে