পাবনার চাটমোহরে ভেজাল বিরোধি অভিযান চালিয়ে দুধ প্রক্রিয়াকরণের কথিত চিলিং সেন্টারের পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী। গত বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রামে দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি অনুমোদন না থাকায় এবং ভেজাল দুধ তৈরি বরার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এই সেন্টারের মালিক বিলচলন ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে ভবিষ্যতে এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করবে মর্মে কৃষকদলের ওই নেতা মুচলেকা প্রদান করেন। এসময় উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আসলাম হোসেন ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী জানান,ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এরআগে গত সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কৃষকদল নেতা আব্দুল মোমিনের মালিকানাধীন ভেজাল দুধ তৈরির ওই চিলিং সেন্টারেই অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল দুধ,ডিটারজেন,কেমিক্যাল,সয়াবিন তেলসহ ভেজাল দুধ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী। এ সময় আব্দুল মোমিন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন ধরে সবার অগোচরে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া বিশিপাড়া এলাকায় আঃ মোমিন একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে সয়াবিন তেল,কেমিক্যালসহ নানা উপকরণ দিয়ে নকল দুধ তৈরি করে আসছিলেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মণ ভেজাল দুধ তৈরি করে সে উপজেলার বিভিন্ন দুধসংগ্রহ কেন্দ্রে বিক্রি করতো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কৃষকদল নেতা আব্দুল মোমিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক লিটন বিশ্বাস জানান,এমন ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, পরে জেনেছি। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন,ভেজাল বিরোধি অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আর এমন অপরাধ করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। যদি আবারো এমন ঘটনায় সে সম্পৃক্ত হয়,তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।