ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র উদ্যোগে প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এই প্যানেলে ভিপি (সভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন উমামা ফাতেমা নিজেই। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে লড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল সাদী ভূঁইয়া। এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে আছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহেদ আহমদ।
প্যানেলের অন্যান্য পদে মনোনয়ন পেয়েছেন— মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম (বিধান), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম-রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুমী চাকমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান নিঝুম এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান নিসু।
সদস্য পদে আছেন নওরীন সুলতানা তমা, আবিদ আব্দুলাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের (তুফান), আব্দুল্লাহ আল মুবিন (রিফাত), অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ আরমান, মো. মুকতারুল ইসলাম (রিদয়), হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক রাফি, মো. সজিব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান সানি।
প্যানেল ঘোষণার সময় উমামা ফাতেমা বলেন, “নানান পথ পেরিয়ে আজ আমি একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালাম। প্রায় সাত থেকে আট বছর ধরে ক্যাম্পাসে আছি। প্রথম বর্ষেই ডাকসুর নির্বাচনে সুফিয়া কামাল হলে পাঠচক্র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম, যদিও হেরে যাই। তবে সেই অভিজ্ঞতা আজ আমাকে আরও দৃঢ় করেছে।”
ঘোষিত প্যানেলে নারী প্রার্থী রয়েছেন ছয়জন, আদিবাসী দুইজন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন পাঁচজন। ফলে বৈচিত্র্য ও প্রতিনিধিত্বের দিক থেকেও এ প্যানেল ইতিমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে।
এদিকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮ পদে ৫০৯টি এবং হল সংসদের ১,১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।