নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা হল তিস্তা বাহিত নদী এলাকা । এলাকাটি বর্ষাকালে প্রায়ই সময় পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। বর্তমানে বুড়ি তিস্তা নদীকে বালুমহল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকির মুখে পড়েছে নদী সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত কোটি টাকার উভয় তীরের রক্ষা বাঁধ। বালু বহনকারি ভারী ড্রাম ট্রাক চলাচলে ইতোমধ্যেই বাঁধের পিচঢালা সড়ক দেবে গিয়ে ধসে পড়েছে।
নদীর ঘাট থেকে ড্রেজার মেশিন ও শ্যালো পাম্পের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এমন দৃশ্য সকলের চোখে পড়লেও দায়িত্বে থাকা কর্তারা নিরব।
এলাকার বাসিন্দারা জানান,প্রতিদিন ড্রাম ট্রাকে করে বালু পরিবহন করা হয়। আর এ সকল ভারি যানবাহন বাঁধের উপর দিয়ে চলাচল করে। যার কারণে বাঁধের অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে।
তারা আরো জানান, প্রভাবশালী একটি মহল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বালুমহাল ইজারা নিয়ে এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদ এলাকার সাধারণ মানুষ।
আলিম উদ্দিন নামে একজন বলেন, বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল আমাদের জানমাল রক্ষার জন্য। কিন্তু ড্রাম ট্রাকের চাকায় সেই বাঁধ এখন আমাদের মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাঁধটি রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বাঁধটি পরিদর্শন করে মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীলফামারী জেলার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আতিকুল ইসলাম জানান,এই বাঁধ শুধুমাত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নির্মিত। এখানে যানবাহন চলাচলের অনুমোদন নেই। কারা এটি ব্যবহার করেছে