বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর ঢ়ুলিপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে যোগ দিয়ে বললেন, “যারা ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাস করে, তারা পিআরকে মেনে নেয়ার একটি নৈতিক জায়গা থেকে বাধ্যবাধকতা আছে। কারণ ইতিমধ্যে যে সার্ভে হয়েছে সুজনের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানে ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর চাচ্ছে। পিআর মাধ্যমে নির্বাচন হলে স্বৈরাচার তৈরি হবে না। ৫৪ বছরের ট্রেডিশনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। পিআর পদ্ধতিতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।”
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, “শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন হ্যাঁ/না ভোট করেছিলেন তখন কিন্তু পার্লামেন্ট ছিল না। আমরা শহিদ জিয়ার সেই দলকে অনুরোধ করবো- তারা যেন শহিদ জিয়া যেভাবে ভোট করেছিলেন, প্রক্লেমেশন করেছিলেন, সেটাকে ফলো করে। এবারের যে সমস্ত সংস্কারে আমরা একমত হয়েছি, সেটাকে ভিত্তির মাধ্যমে আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে তারা পজেটিভ ভূমিকা নেবে।”
আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, “সংস্কারের ভিত্তিতে এই নির্বাচন হতে হবে। যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাঙ্খাকে পূরণ করতে পারবে না। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। উৎসবমুখর নির্বাচন। স্বৈরাচার ছাড়া সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। এর আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।”
‘নির্বাচন যথা সময়ে হবে । কিন্তু নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার জন্য কিছু অবস্ট্যাকল আছে, সরকার সিনসিয়ার হলে সেগুলো দূর করা সম্ভব। তখন নির্বাচনের ব্যাপারে আর কোন প্রতিবন্ধকতার সুযোগ দেখি না। নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা সদর-৬ আসনের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ফেনী জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী কামরুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হোসেন ও নাছির আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।