মোরেলগঞ্জে হয়রানিমুলক মামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ গ্রামবাসির,নিঃস্ব দিনমজুরের পরিবার

এফএনএস (শেফালী আক্তার রাখি; মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট) | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১০ পিএম
মোরেলগঞ্জে হয়রানিমুলক মামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ গ্রামবাসির,নিঃস্ব দিনমজুরের পরিবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মারপিটের ঘটনায় দিনমজুর পরিবারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা হয়রানিমুলক মামলা হওয়ায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসিরা। এ ঘটনার তারা মামলা প্রত্যাহারসহ ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খাউলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবার সহ স্থানীয় মুসল্লিরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন।    

 বিক্ষোভ ও মানববন্ধন থেকে স্থানীয় কৃষক আনোয়ার আকন, জয়নাল খান, শফিকুল ইসলাম, মিনার বেগম, জান্নাত বেগম, সেকেন্দার শাহ সহ একাধিকরা গ্রামবাসিরা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোষর দালাল চক্রের হোতা মোশারেফ ফরাজীর ছেলে সুলাইমান ও একই গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম শেখের ছেলে ইমনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মোশারেফ হোসেনের মেয়ে রিনা আক্তারকে দিয়ে দিনমজুর ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে গত ২৪ মার্চ মোরেলগঞ্জ থানায় ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষনের চেষ্টা একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দিনমজুর ইব্রাহিম এক মাস ২২ দিন জেল হাজত খেটে জামিন পান। কিন্তু মামলাটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করেও এলাকাবাসির স্পষ্ট বক্তাব্য মামলাটি সাজানো। হয়েছে মারামারি কিন্তু ধর্ষণের চেষ্টা এ মামলাটি কিভাবে হলো?। মোশারেফ ফরাজী একজন এলাকার চিহিৃত দালাল। অনেক মানুষের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার এনে দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার পায়নি। এ ছাড়াও পানির ট্যাংকি, বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। পশ্চিম খাউলিয়া শিকদারবাড়ি বাইতুন জামে সমজিদের বিদ্যুৎ সংযোগের নামে সাড়ে  ৪ হাজার টাকা নিয়েও কাজ করেননি। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লিরা অন্য ব্যক্তির নামে মিটার বকেয়া বিল পরিশোধ করে মসজিদে সংযোগ দেয়। এ রকম একাধিক অভিযোগ তোলেন মোশারেফের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী গ্রামবাসিরা।

এ বিষয়ে দিনমজুর মো. ইব্রাহিম শেখের স্ত্রী রেশমা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মামলার ঘানি টানবো না, বৃদ্ধ শ্বাশুড়ির ওষুধ কিনবো। সংসারে একমাত্র উপাযনকারি দিনমজুর স্বামী কাজে গেলে সেদিন দু’মুঠো খাবার জোটে। পরিবারের প্রতিবন্ধী মেয়েসহ ৫ জনের কিভাবে যে দিন কাটছে। এ মামলায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে মোশারেফ। পুলিশ একটি পক্ষের হয়ে মামলাটি নিয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে প্রকৃত ঘটনার পুনরায় তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি।

মোশারেফ ফরাজী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলাটি সঠিক। ওখানে যারা প্রতিবাদ করেছে তারা তাদের আত্মীয়। তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেয়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে