বিচারকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুললেন পিপি রুহুল আমিন

এফএনএস (কাজল বরণ দাস; পটুয়াখালী) : | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
বিচারকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুললেন পিপি রুহুল আমিন

জেলা ও দায়র জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিনের বিরুদ্ধে গুরুতর পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট রুহুল আমিন। সম্প্রতি বিচারকের বাসায় ঘুষের খাম পাঠানোর অভিযোগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।

পিপি রুহুল আমিনের দাবি, ঘুষের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। বরং বিচারক আদালতকে ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করছেন এবং ঘনিষ্ঠ আইনজীবী ও কোর্টকর্মচারীদের নিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। সেই সিন্ডিকেটের স্বার্থে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় তাকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, মামলার জামিন, খালাস কিংবা অব্যাহতির আদেশ প্রায়ই আদালতের বাইরে বিচারকের বাসায় বসেই দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, আলোচিত লামিয়া ধর্ষণ মামলায় বিচারক আসামিপক্ষকে সুবিধা দিয়েছেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণকালে তাকে ধমকও দেওয়া হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় বিচারপ্রার্থী এক মহিলাকে খাস কামরায় নিয়ে পুলিশ দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও তার অভিযোগ।

পিপির বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একাংশ তাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। অতীতে তার চেম্বারে হামলা, ভাঙচুর, এমনকি শারীরিক আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই মহল এবং বিচারক একত্রে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

অন্যদিকে বিচারক নিলুফার শিরিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে যে সিন্ডিকেটের অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। তিনি বরিশালের বাসিন্দা এবং সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে নিয়োগ পেয়েছেন। ঘুষ কিংবা বিশেষ সুবিধার অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ঘটনায় আদালত অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবী সমাজে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, অভিযোগ-প্রত্যঅভিযোগের এ ঘটনায় আদালতের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে