লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

কাহারোলে আমন ধানের মূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষক, সারের দাম চড়া

এফএনএস (মোঃ আব্দুল্লাহ; কাহারোল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
কাহারোলে আমন ধানের মূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষক, সারের দাম চড়া

দিনাজপুরে কাহারোল উপজেলায় চলতি আমন ধানের ভরা মৌসুমে টি.এস.পি, এম.ও.পি ও ডি.এ.পি সারসহ বিভিন্ন জাতের সারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য রাখার অভিযোগ উঠেছে সার বিক্রেতাদের। কৃষকদের দাবী বিশেষ করে দেশী টি.এস.পি., এম.ও.পি. তিউনিশিয়া ও ডি.এ.পি সারের সংকট দেখিয়ে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধীকহারে মূল্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাহারোল উপজেলায় বি.সি.আই.সি ডিলারদের নিকট টি.এস.পি সার নেই। আবার বি.এ.ডি.সি ডিলারদের নিকট টি.এস.পি সার নেই। এই অজুহাত দেখিয়ে এক শ্রেণির মুনাফালোভী সার বিক্রেতারা বেশী দাম নিচ্ছে সারের। বিক্রেতারা গোপন স্থানে গোডাইনজাত করে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে টি.এস.পি সারের। কতিপয় অসাধু সার ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে টি.এস.পি সার সংকট সৃষ্টি করার লক্ষ্যে তাদের গোপন স্থানে গোডাউন গুলোতে সার মজুদ করে রাখছে। অন্যদিকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে খুচরা সার বিক্রেতা কীটনাশক দোকানগুলোতে খুচরা সার বিক্রি করতে পারবেন না। এর পরেও ডিলাররা অধিক মূল্যে খুচরা সার ও কীটনাশক দোকানগুলোতে দেদারছে সার বিক্রি করে আসছে প্রকাশ্যে আবার কখনও গোপনে। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাহারোল উপজেলায় বি.সি.আই.সি ১০ জন ও বি.এ.ডি.সি’র ১৭ জন ডিলার রয়েছে। ডিলারদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যে টি.এস.পি সারের মূল্য প্রতি বস্তা ৫০ কেজির ১৩৫০ টাকা এবং প্রতি কেজি খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৭ টাকা। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুটুনীহাট, তেলেঙ্গীবাজার, বটতলী, রামপুর, তের মাইল, বলেয়া, জয়নন্দ হাট সহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি বস্তা টি.এস.পি বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২১০০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বেশী দামে সার ক্রয় করে বিক্রি করছি। 

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৫ হাজার ৩ শত ৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শেষ মুহুর্তে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। 

কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রাণী সেহানবীশ জানান, আমাদের ফসল অনুপাতে আমাদের সারের যে চাহিদা কভার করেও আমাদের সারের কোন অভাব নেই কাহারোল উপজেলায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে সারের সরবরাহ রয়েছে। এই সম্পর্কে অভিযোগ এলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে