আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

বড়াইগ্রামে বিএনপি কর্মীকে গুমের অভিযোগে সাবেক এমপিসহ ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) : | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
বড়াইগ্রামে বিএনপি কর্মীকে গুমের অভিযোগে সাবেক এমপিসহ ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের

নাটোরের বড়াইগ্রামে আতিকুর রহমান নামে এক বিএনপি কর্মীকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক এমপি এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও দুইজন উপ-পরিদর্শকসহ মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুমের শিকার উপজেলার কায়েককোলা গ্রামের আতিকুর রহমানের মা শেফালী খাতুন স্বশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেছেন। শনিবার তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক সাইদুর রহমান সৈকত (৪৮), উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান (৪৫) ও সাজ্জাদ হোসেন (৪৮), কেঁচোয়াকোড়া গ্রামের আজিমউদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৮) ও ঝলু মিয়া (৪৮), মতিউর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ (৫৫), ফসী সরকারের ছেলে আব্দুর রউফ সরকার (৫০), আফাজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান (৫৭),  কায়েমকোলা গ্রামের নায়েবউল্লাহ গাইনের ছেলে আব্দুল জলিল গাইন (৫০) ও মহিষভাঙ্গা গ্রামের আজহার মোল্লার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫২)।  

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের দুই ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ও উপ-পরিদর্শকরা অন্যান্য আসামীদের নিয়ে বিএনপি কর্মী কায়েমকোলা গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে আতিকুরের বাড়িতে যান। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্যের নির্দেশে তারা সেখানে গিয়েছেন জানিয়ে আতিকুরসহ একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম ভূট্টু, মৃত মেকার হোসেনের ছেলে মিঠু এবং আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল গাফ্ফারকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, গাফফারকে নলডাঙ্গা থানা, মিঠুকে নাটোর সদর থানা ও ভূট্টুকে বাগাতিপাড়া থানার মামলায় আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডিবির কর্মকর্তারা আতিকুরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেননি এবং তার সন্ধান চাইলেও কৌশলে এড়িয়ে যান। এ ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ না পাওয়ায় আসামীরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে বাদীনী মনে করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে