পার্বতীপুরে ৫ মাস পর নতুন এসিল্যান্ড

এফএনএস (সোহেল সানী; পার্বতীপুর, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
পার্বতীপুরে ৫ মাস পর নতুন এসিল্যান্ড

দীর্ঘ ৫ মাস পর দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে যোগদান করেছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৪০তম ব্যাচের কর্মকর্তা মাহমুদ হুসাইন রাজু। তিনি ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সরকারি বিসিএস প্রশাসন চাকরিতে যোগদান করেন। ২৩ আগষ্ট পার্বতীপুরে যোগদানের আগে তিনি শিক্ষানবীস হিসাবে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি প্রথমে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) (নেজারত শাখা, ফরম এন্ড স্টেশনারী ও ট্রেজারী শাখা) কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), ঢাকা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ী নড়াইল জেলা সদরে।

হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করে নতুন পার্বতীপুর সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

মাহমুদ হুসাইন রাজু বলেন, আমি এখানেই প্রথম এসিল্যান্ড যোগদান করেছি। আমার প্রথম কাজ হবে হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা দেওয়া। যে কোনো সময় জনগণকে ভূমি সংক্রান্ত সার্বিক সেবা দেওয়া হবে। জনগণ সরাসরি এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। সেই সাথে সেবাগ্রহিতাসহ সাধারন মানুষের সহযোগীতা পেলে সেবার মান আরো বাড়বে।  

পার্বতীপুর সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) অফিসের সার্ভেয়ার মো: নাহিদ হাসান বলেন, নতুন সার্ভেয়ার হিসেবে যোগদানের পর থেকে সেবাগ্রহিতাদের নিরলসভাবে সেবাদানে কাজ করেছেন। একই ভাবে ভূমি ক্ষেত্রে মালিকানা সম্পত্তি, সাথে অর্পিত পরিত্যাক্ত রেল, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমির সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবো। এরআগে, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), পৌরসভার প্রশাসক এবং উপজেলা পরিষদ প্রশাসক পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সাদ্দাম হোসেন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পার্বতীপুর উপজেলার ভূমি সেবার চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। গত ৫ মাস উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র পদ শুণ্য ছিল। গত ৫ মাসে ৩ হাজার নামজারি (মিউটেশন) নিষ্পত্তি করেছেন। যা প্রশাসনিক বা ভূমি-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একদিকে সেবা গ্রহীতাদের কম সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত সেবা মিলছে। গত ৫ মাসে নামজারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সাদ্দাম হোসেন বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও হয়রানি দূরীকরনে কাজ করেছি। জনগণের হয়রানি মুক্ত ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে, শুনানীতে উপস্থিত হওয়া ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে