রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে নির্বাচনের ডেডলাইন দিয়েছেন ড. ইউনুস: ফরহাদ মজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে নির্বাচনের ডেডলাইন দিয়েছেন ড. ইউনুস: ফরহাদ মজহার

কবি, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে নির্বাচনের ডেডলাইন দিয়েছেন ড. ইউনুস। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে জ্ঞানতরু সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, “সব রাজনৈতিক দল শুধু ভোট চায়, নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যেতে চায়। কেউ দেশের কথা, জনগণের কথা ভাবছে না। সবাই শুধু ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করতে চায়। আমাদের প্রথম কাজ হলো নতুন রাষ্ট্র গঠন করা। আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করতে হবে। আগে রাষ্ট্রের কাঠামো ঠিক করতে হবে, তারপর নির্বাচন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা আমাদের জীবন স্থানীয়ভাবে যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার চেয়েছি, কিন্তু রাষ্ট্র সেই অধিকার দেয় না। রাষ্ট্র ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত নেয়। আমার করের টাকায় রাষ্ট্র চলে, কিন্তু আমার কোনো উপকার হয় না। জনগণ আগে, রাষ্ট্র পরে। জনগণের ওপর রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্রের এমন ক্ষমতা থাকবে না যা জনগণের ব্যক্তি অধিকার খর্ব করে। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না যা প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট করে বা জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে।”

রাষ্ট্র সংস্কারের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে ফরহাদ মজহার বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রাম ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হত না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব দলকে নিয়ে একটি নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। বিদেশ থেকে লোক এনে বিভিন্ন কমিশন গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। দেশের মানুষকে দিয়ে যারা দেশের মানুষ নিয়ে কাজ করে, তাদের মাধ্যমে কমিশন গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্ঞানতরু সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নেছারউদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক শাহরিন আরাফাত, উলিপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন চাঁদ, জুলাই যোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নাহিন, অধ্যাপক আব্দুল বারী ও সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে