পুঠিয়ায় তিন ধাপে কৃষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে

এফএনএস (কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী) : | প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
পুঠিয়ায় তিন ধাপে কৃষকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে

রাজশাহী পুঠিয়ায় কৃষকরা খাদ্যশস্য হাটে নিয়ে এসে তিন ধাপে ভোগান্তির শিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহত্তম বানেশ্বর ঝলমলিয়া হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটে প্রকাশ্যে ঢলন প্রথা চালু থাকায়। প্রত্যন্তঞ্চল হতে কৃষকরা হাটে খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী  বিক্রি করতে এসে ওজন কারচুপি শিকার হচ্ছে। ৪০ কেজিতে মণ হিসাবে খাদ্যশস্য কেনাবেচার করার বিধান চালু থাকলেও হাটের পাইকারী ব্যবসায়ীরা নিয়ম অমান্য করে ৪২ কেজি মণ হিসাব পণ্য কিনছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতি শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় জানায়, ক্ষেত হতে উৎপাদিত খাদ্যশস্য হাটে আনলে ব্যবসায়ীরা প্রতি মণে অতিরিক্ত ২ কেজি করে ওজন বেশি নিচ্ছেন। অথচ তারা বিক্রি করার সময় ৪০  কেজি এক মণ ধরে পণ্য বিক্রি করছে। অপরদিকে চাষিরা হাটে খাদ্যশস্য নিয়ে আসলে আড়তদাদের কর্মচারীরা ওজন করার বাবদ মণ প্রতি ১০ হতে ১৫ টাকা করে কেটে নিচ্ছে। পন্যের ওজন ৪২ কেজি নেওয়ার পর কোনোক্রমে ৮শত গ্রামের পণ্য ওজন করার সময়ে বেঁচে যায়। সেই পণ্যে দাম আর দেওয়া হয় না। আবার পরিস্কার-পরিচ্ছন কর্মীরা ইচ্ছা মতো জোরপুর্বক কৃষকের নিকট হতে কয়েক কেজি খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন পন্য নিয়ে নিচ্ছে। ঝলমলিয়া হাটের রসুন বিক্রি করতে আসা  মজনু বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত খাদ্যশস্য বিক্রি করতে আসলে আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসাীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ি। আর এদের দাঁড়ায় পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। শুধুমাত্র বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া হাট দুইটিতে মণে ৪২ কেজি করে পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করা হচ্ছে। বানেশ্বর হাটের পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা  আবুল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনিয়ম গাফিলতির কারণে আড়তদার ও পাইকারিা বল প্রয়াগ করে কৃষকদের নিকট হতে মণে ২ কেজি পণ্য বেশি নিচ্ছেন। মোস্তফা হোসেন নামের কৃষক বলেন, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে হাটে গিয়ে ভেজাল পন্য সামগ্রী বিক্রি এবং জোরপুর্বক ঢলন নেওয়া তদারকি করলে প্রত্যন্তঞ্চলের কৃষকরা হাটের সিন্ডিকেটের হাত হতে রক্ষা পেত। বানেশ্বর হাটের আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাটে খাদ্যশস্য নিয়ে আসলে আড়তদার পাইকাদের সঙ্গে এক প্রকার যুদ্ধ জুলুম করে বাড়ি ফিরতে হয়। উপজেলার প্রতিটি হাট কমিটির অনিয়ম দুর্নীতি ও গাফিলতির কারণে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কৃষকদের পন্য ইচ্ছা মতো জোরপুর্বক নিয়ে নেওয়ার সাহস পেয়ে থাকেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা হাট কমিটিকে মোটা অংকের টাকা জমা দিয়ে হাটে তোলা ওঠানো অনুমতি পেয়ে থাকেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমি হাটের ঢলন প্রথা বিষয়টি জানি। আমের সময়ে এটা হয়ে থাকে। খাদ্যশস্যের কৃষকের ভোগান্তির ব্যাপারটি আমার জানা ছিল না। তবে  কৃষক পর্যায় হতে অভিযোগ আসলে আমরা যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে