আউশধানের বাম্পার ফলন জলাবদ্ধতায় নষ্ট

এফএনএস (মহানন্দ অধিকারী মিন্টু; পাইকগাছা, খুলনা) : | প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
আউশধানের বাম্পার ফলন জলাবদ্ধতায় নষ্ট

খুলনার পাইকগাছায় আউশের বাম্পার ফলন হলেও টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত-খামারে ২৫ শতাংশ ধান বিচুলী নষ্ট হয়েছে। আউশের ক্ষেত ভরা স্বর্ণালী রঙের ধান ঘরে তুলতে না পারায় কৃষক ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেতে জলাবদ্ধতায় ধান কর্তন ও উঠানোর সময় ভিজা ঝরে যাচ্ছে। উচু জায়গা না পাওয়ায় পিচের রাস্তায় ধান জড়ো করে ঢেকে রাখায় গরমে ভিতরের ধান অঙ্কুরোদগম হয়ে নষ্ট হয়েছে। ভিজা ধান ঠিক মত ঝাড়াই ও রৌদ্রে শুকাতে না পারায় কৃষক বাম্পার ফলন আউশ ধান ক্ষেতেই ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের ভিজা বিচুলী বৃষ্টিতে ভিজে পচে গেছে। উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটা, ঝাড়াই ও মাড়াই খরচ বাড়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার হিতামপুর ব্লকের কৃষক হামিদ মোড়ল জানান, আউশ ধান খুব ভালো হয়েছিলো, কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে সোনার ধান ঘরে তুলতে পারলাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আমনের জন্য তৈরি বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় চারার সংকটে পড়েছেন কৃষক। আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকরা। অন্য জেলা থেকে চারা সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও দাম লাগামহীন। ফলে চারা সংগ্রহ করতে পারেননি অনেকে। এবার রোপা আমনের ফলন না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আউশধান মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভায় ১শত ১৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, আউশ ধানের ফলন ভাল হয়েছিলো। তবে অতিবৃষ্টিতে কৃষকের ধান কর্তন, ঝাড়াই ও বিচুলী শুকাতে না পারায় আউশ আবাদে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে