তদন্তের আওতায় ব্যাংক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
তদন্তের আওতায় ব্যাংক খাত

সরকার ১৫ বছরের ব্যাংক খাতের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা সামনে রেখে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের আওতায় এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান, এবং সরকারি ও বেসরকারি ২৪টি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালক। সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তথ্যও তলব করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ দুদককে চিঠি দিয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। একই সঙ্গে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক—সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক—এর চেয়ারম্যান, পরিচালক ও এমডিদের ওপরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি ১৮টি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি, চেয়ারম্যান ও পরিচালকও দুর্নীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের কারণে তদন্তের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে এস আলম গ্রুপের ছয়টি ব্যাংক, এবং আরও কয়েকটি ব্যাংক যা এখনও আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে।

৫ আগস্টের পর পুনর্গঠন হওয়া বেসরকারি ব্যাংকের তালিকা:

ইসলামী ব্যাংক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL)

আইএফআইসি ব্যাংক

ইউসিবি

এক্সিম ব্যাংক

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

ইউনিয়ন ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

এনআরবি ব্যাংক

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (NRBC)

মেঘনা ব্যাংক

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (BCBL)

প্রিমিয়ার ব্যাংক

এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বোর্ড নিয়োগ পাওয়া আরও তিন ব্যাংক—এবি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক—ও তদন্তের আওতায় এসেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এক ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন, তাদের ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ ঋণখেলাপি। মালিক ও পরিচালকরা প্রায় পুরো টাকা বাইরে সরিয়ে নিয়েছেন।”

এই পদক্ষেপ ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে বৃহৎ দুর্নীতি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে