সৈয়দপুরে সবজীর দাম কেজিতে দ্বিগুণ বৃদ্ধি, দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষ

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
সৈয়দপুরে সবজীর দাম কেজিতে দ্বিগুণ বৃদ্ধি, দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করে তিনগুন বেড়েছে সকল প্রকার সবজীর দাম। বাজার সারতে গিয়ে দাম শুনে দিশেহারা অনেকে। সবজীর আকাশচুম্বি দামে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। তবুও নজর নেই বাজার নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের।

প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই ৫০ টাকার উপরে কেজি। আর হুট করে বেড়েছে কমে যাওয়া পেঁয়াজ ও মরিচের দামও। 

বুধবার ২৭ আগস্ট সৈয়দপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকল প্রকার শাক-সবজির দাম উর্ধ্বমুখী। সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজী বাজারের ব্যবসায়ি মোঃ ভলু মিয়া জানান,বন্যার কারণে জমিতে সবজী পঁচে গেছে। তাই বাজারে সবজী সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন প্রত্যেক সবজীর দাম বেড়েছে। কারণ বাড়তি দামে আড়ৎ থেকে সবজী ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামে কিনে আরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

সৈয়দপুর রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ স্বাধীন হোসেন জানান, আমার ব্যবসায়ি জীবনে এমন বাড়তি দাম কখনো দেখেনি। তিনিও বলেন দফায় দফায় বন্যার কারণে সবজী ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজী বাজার সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নুল হক বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে বাজার দাম বাড়তিমুখী। এ দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

একই কথা জানালেন ব্যবসায়ী মাসুদ শেখ, ডিপজল,ও মোসলেম উদ্দিন। তারা বলেন কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৯০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে। তারা বলেন সহসা দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না।

বর্তমানে বাজারে করলার কেজি ৬০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০ টাকা। বরবটি ৮০ টাকা। এটিও কেজি ছিল ৩০ টাকা। বেগুন ডোপা কেজি ৭০ টাকা, যা কিছুদিন পুর্বে ছিল ১৫ টাকা। বেগুন লম্বা কেজি ৬০ টাকা,যা কয়েকদিন পুর্বে ছিল ১৫ টাকা। আলু দেশী ২৩ টাকা, হলেন্ডার ২০ টাকা। লাউ ছোট আকারের ৬০ টাকা, যা কয়েকদিন আগে ছিল ২০ টাকা। কচু বা সজী কেজি ৬০ টাকা, যা ছিল ২০ টাকা কেজি। রসুন কেজি ১১০ টাকা,যা ছিল কয়েকদিন আগে ৭০ টাকা, কাচা মরিচ কেজি ৪শ টাকা। আদা কেজি ২শ টাকা, পটল কেজি ৬০ টাকা। পুইশাক ৪০ টাকা, লালশাক ৪০ টাকা, কমলী শাক ৪০ টাকা, পাটা শাক ৪ টাকা,কদু শাক ৩৫ টাকা,সবুজ শাক ৪০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা,শাকপুতি ( তরাই) ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

সৈয়দপুর অফিসার কলোনী থেকে বাজার সারতে আসা মাহবুব আলী বলেন, সবজীর দাম শুনে মাথা কাজ করছে না। তাই অল্প কিছু বাজার করে বাসায় যাচ্ছি।

নতুন বাবু পাড়ার বাদল মিয়া বলেন,বাজারে সকল প্রকার নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজার দামে মানুষ দিশেহারা। সরকারকে এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজি বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন,শীতের আগাম সবজি এখনো বাজারে আসেনি। তবে কিছুদিনের মধ্যে আসবে। এটি এলেও দাম কমার সম্ভবনা নেই।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর- ই - আলম সিদ্দিকী বলেন,বাজারে যদি কেউ অতিরিক্ত দাম নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে