আগৈলঝাড়ায় পুকুর জরিপের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করলো মাঠ সহায়ক

এফএনএস (এস এম ওমর আলী সানি; আগৈলঝাড়া, বরিশাল) : | প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আগৈলঝাড়ায় পুকুর জরিপের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করলো মাঠ সহায়ক

পুকুরের সংখ্যা জরিপের জন্য সরকারী নিয়ম অমান্য করে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক বাহিরের লোক দিয়ে পুকুর জরিপের কাজ করিয়ে ভাতার টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বুধবার মৎস্য অফিসের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জরিপকারী সমীর রায়। এঘটনায় তদন্তর জন্য দায়িত্বদিয়েছেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে বাগধা ও বাকাল ইউনিয়নে পুকুর জরিপের কাজ করার সরকারী নিয়ম রয়েছে মৎস্য অফিসের দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী প্রিশীলা অলি বায়েনের। সে সরকারী নিয়ম অমান্য করে নিজে মাঠে না গিয়ে উপজেলার আস্কর গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে সমীর রায়কে দিয়ে দুই মাস জরিপ কাজ করান। প্রতিটি পুকুর জরিপ করার জন্য মৎস্য অফিসের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৫ টাকা। মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন অফিস থেকে ৪৫ টাকা  উত্তোলন  করলেও  সমীর রায়কে দিয়েছে ২৫ টাকা করে। ২২৪৯টি পুকুর জরিপ করে ৫৬ হাজার ২শত ১৬ টাকা দাবী করেন সমীর রায়। কিন্তু সমীর রায়কে দেওয়া হযেছে ৩১২০০ টাকা। তার বাকী থাকে ২৫১৬০ টাকা দাবি মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন কাছে।  তার আরো অভিযোগ সরকারি বরাদ্দ জরিপ কাজের জন্য থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন তাও তাকে দেওয়া হয়নি।

সমীয় রায় তার পাওনা টাকা পওয়াজন্য  এবং অফিস থেকে অতিরিক্ত ৪৪৯০০ টাকা উত্তোলন করেন প্রিশীলা অলি বায়েন। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিকের কাছে সমীর রায় মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালাকে নির্দেশ দিঢেছেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন বলেন, আমি অফিসের বাইরের লোক সমীর রায়কে দিয়ে কোন কাজ করানি। আমি একজন মহিলা মানুষ গ্রামে গ্রামে  ডাটাবেইজের জরিপ করতে যাই। একা যেতে ভয়লাগেবলে আমার সঙ্গীহিসেবে তাকে আমার সাথেনেই। তার পরিশ্রমিকবাবদ প্রতিপুকুর প্রতি ২৫টাকা দিয়ে থাকি।  ডিভাইজটি আমার নামে তাই আমি কাউকে দেইনা। সমীর রায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের বাহিরের লোক দিয়ে কাজ করানোন কোন সুযোগনাই। ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরিকরা হয়। যেটাদিয়ে করা হয় সেই ডিভাইজটি প্রিশীলা অলি বায়েননর নামে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক স্যার অভিযোগ পেয়ে  বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়ত্ব দিয়েছেন। রিপোর্টপাবার পরেস্যা ব্যবস্থানিবেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়ে সত্যাতার জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়ত্বদিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদ পেয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে