নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মামলা হামলার শিকার কারা নির্যাতিত নেতা মোঃ মুজিবুর রহমান আসন্ন ছাত্রদলের কমিটির গুরুত্বপূর্ন পদে তাকে মূল্যায়ন করে কাজের স্বীকৃতি চান।
মজিবুর রহমান বিগত ১৬/১৭ বছর যাবত ফ্যাসিষ্ট্য হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করতে গিয়ে হাসিনার পেটুয়া পুলিশ বাহিনী , ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের রক্ত চুক্ষু উপেক্ষা করে সবসময় মাঠে ছিলেন সক্রীয়। বিনিময়ে তার বিরুদ্ধে হয়েছে ৭টি মামলার আসামী হয়েছেন, সে মামলায় কারাভোগ করেছেন তিন মাস । এছাড়াও হামলার শিকার হয়েছে তিন বার ।
মোঃ মজিবুর রহমানের পিতা একেএম খায়রুল হক প্রকাশ কাশেম মেম্বার ছিলেন, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকলিন সদস্য ও সহ সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনিয়র সহসভাপতি দায়ীত্ব পালন করেছেন।
পিতা ও তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে তার বড় দুই মোঃ মাসুদ ও মেঝ ভাই মিজানুর রহমান দলের কোন পদ পদবী না থাকলেও হয়রানিমূলক ভাবে দুই ভাইকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। বড়ভাই মাসুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ৭টি মামলা,এতে তাকে কারাভোগ করতে হয় তিনমাস ও মেঝ ভাই মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলা,তাকেও কারাভোগ করতে হয় ৭দিন।
ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক মজিবুর রহমান জানান, তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করার জন্য এএসআই পদে প্রাথমিক এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তিন্ন হন। কিন্তু তিনি ছাত্রদল করার কারনে ভেরিফিকেশনে তাকে ষড়যন্ত্রমূল ভাবে বাদ দেওয়া হয়।
মোঃ মজিবুর রহমান আরো জানান, তিনি ৬নং কাবিলপুর ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য হিসেব ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি কাবিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি কাবিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণর রসম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কাবিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের দায়ীত্বে রয়েছেন।
তার বাদী আসন্ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সেনবাগ উপজেলা শাখার কমিটি হবে। তিনি ওই কমিটিতে সভাপতি পদে প্রার্থী। দলের নিকট তার দাবী অতিতের পারিবারিক রাজনৈতির পরিচিতি ও তার আন্দোলন সংগ্রামের ভূমিকা মূল্যায়ন এবং মামলা হামলা কথা চিন্তা করে তাকে সভাপতি পদে মূল্যায়ন করার জন্য দলের প্রতি আহবান জানান। মজিবুর রহমান রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনেও তিনি সফল। মজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি এলএলবিতে অধ্যায়ন রত রয়েছেন।