প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি: দাবিমেনে না নেওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি: দাবিমেনে না নেওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান

প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিমেনে নেওয়া না হলে শাহবাগে অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচ ২০-এর শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ এ নতুন কর্মসূচির কথা জানান।

জুবায়ের আহমেদ জানান, আন্দোলনের মূল কারণ গত কয়েক দিনে শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। তারা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সরাসরি আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও জবাবদিহি করতে বাধ্য করা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধির সঙ্গে যৌথ কমিটি গঠন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এছাড়া পুলিশের সহিংসতা ও হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

শাহবাগ মোড়ে বুয়েটসহ অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টায় ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান শুরু করেন। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া, ইট নিক্ষেপ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর আন্দোলনকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দাবির প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, শাহবাগ ব্লকেড’, ‘এক দুই তিন চার, দাবি আদায়ে আমরা এক’, ‘আমার দাবি আমার দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট একশন’। এই অবস্থার কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে, ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো: নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে, কোটার ভিত্তিতে পদোন্নতি বা নতুন সমমানের পদ সৃষ্টি করা যাবে না; দশম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে; এবং বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে