আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশনাররা রোডম্যাপের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, “নির্বাচনের রোডম্যাপ আমরা অনুমোদন করেছি। এখন শুধু প্রকাশের অপেক্ষা।”
এই রোডম্যাপে নির্বাচনের আগের ও পরবর্তী কার্যক্রমের সময়সূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের সময়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি আইন সংস্কার, আসন পুনর্নির্ধারণ, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের পরিকল্পনা থাকবে। তবে এতে তফসিল ঘোষণার তারিখ বা ভোটগ্রহণের দিন উল্লেখ করা হয়নি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, চার দিনে ৩৩ জেলার ৮৪টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত এক হাজার ৮৯৩টি দাবি-আপত্তির শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৮৫টি প্রস্তাবের বিপক্ষে এবং ৭০৮টি প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। বিশেষ করে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার আসন বিন্যাস নিয়ে আলোচনা ও প্রস্তাব উঠেছে। পাবনার পক্ষ থেকে সাঁথিয়া ও বেড়া-সুজানগরকে পৃথক আসনে ভাগ করার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ থেকে আগের আসন বিন্যাস পুনর্বহালের প্রস্তাব এসেছে।
ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, রোডম্যাপ প্রকাশের পর থেকেই মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হবে। এটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে বিবেচিত হবে।