বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের দুর্নীতি মামলার রায় পেছালো

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঘোষণার কথা ছিল, তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশে নতুন রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এবং তা ৪ সেপ্টেম্বর হবে বলে জানিয়েছে দুদকের কৌঁসুলি আহমেদ আলী সালাম।

রায়ের জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রায়ের দিন পরিবর্তনের তথ্য শুনে তিনি পরে আদালত ত্যাগ করেন। গয়েশ্বরের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৯ আগস্ট আদালত রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছিলেন।

মামলাটি ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়, দায়েরক ছিলেন দুদকের তখনকার উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়, গয়েশ্বর তার সম্পদের বিবরণীতে ঢাকার রায়ের বাজারের ছয়তলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে নির্মিত বাড়ির ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। এই ব্যয় গণপূর্ত বিভাগের হিসাব অনুযায়ী কম, যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া তার বাসায় পাওয়া ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রীও অবৈধ বলে বলা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় গয়েশ্বর প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশন থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং প্রভাব খাটিয়ে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ-সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এই দীর্ঘ সময়ে ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।