সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায়

ভাণ্ডারিয়ার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খুন

এফএনএস (মোঃ ছগির হোসেন; ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর) : | প্রকাশ: ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
ভাণ্ডারিয়ার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খুন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের রেজাউল করিম ঝন্টু খলিফা (৫৪)  গতকাল শুক্রবার সকালে এক সন্ত্রাসীর উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। সে ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং আউয়ুব আলী খলিফা ছেলে।

নিহতের মা রিজিয়া বেগম, ভাই নান্টু খলিফা এবং মনির হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঝন্টু খলিফা বাড়ী থেকে বের হয়ে একই গ্রামের  ড.ওয়াদুদ উকিল এর বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা একই গ্রামের মজিবর খান এর ছেলে সন্ত্রাসী রুবেল খান তাকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করলে ঘটনা স্থলইে সে নিহত হন । এলাকাবাসী তাকে তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘাতক রুবেল খান তার স্বজনদের সহায়তায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। রুবেল খান উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর তান্ডব চালায় এ সন্ত্রাসী রুবেল। একই গ্রামের প্রায়ত প্রফেসর আব্দুল হালিম উকিল এর বাড়ি থেকে প্রায় ৫৪ টি নারিকেল পেড়ে নেয়। এ ঘটনায় বাধা দিলে প্রফেসর হালিম উকিল এর ছেলে মাসুদকে প্রেট্রোল ঢেলে পরিবারসহ পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় এবং ধারালো গুপতি (ছুরি) নিয়ে তাকে মেরে ফেলতে খুঁজতে থাকে। এ ঘটনায় ওই রাতেই  মাসুদ রানা ভাণ্ডারিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনা জানিয়ে (৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক) ঝন্টু খলিফার কাছে নালিশ দেন মাসুদ। ঝন্টু খলিফা বৃহস্পতিবার  রাতেই রুবেলকে নারিকেল ফিরিয়ে দিতে বলেন এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন।  নারিকেল ফিরিয়ে দেয়া তো দুরের কথা উল্টো তাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে রুবেল। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে ঝন্টুকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

প্রায় ৩ বছর পূর্বে উক্ত রুবেল খান ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মো. ফিরোজ এর ছেলে বাবু বাম চোখ উৎপাটন করে ফেলে সে বর্তমানে অন্ধ। উক্ত রুবেলে বাবা মজিবর খানসহ তার আরও ৪ ভাই রুবেল এর প্রতিটি সন্ত্রাসী কর্মক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সমর্থন দেন তার স্বজনরা।

নিহত ঝন্টুর স্বজনরা আরও জানান, রুবেল খানসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে কেহ কোন কিছু বলতে সাহস পায় না। কেহ কোন প্রতিবাদ করলেই তাদের ওপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জাহাঙ্গির হোসেন জানান, রেজাউল করিম ঝন্টুর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে