শিক্ষার্থী মায়মুনা হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী আপন ফুফা

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
শিক্ষার্থী মায়মুনা হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী আপন ফুফা

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মাইমুনা খাতুনের (১৩) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ।হত্যাকান্ডে জড়িত মুল আসামী তার আপন ফুফা ছাইদুল ইসলামকে (৩৯) ঘটনার ৬ দিন পর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । ছাইদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার ধুরাইল গ্রামের রইছ উদ্দিনের পুত্র। তাকে  ঢাকার খিলগাঁও তিলপাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ ত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার দিকে নালিতাবাড়ীর সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রাম থেকে ওই শিক্ষার্থীর  মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরী ওই গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে ।

থানা পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থী মাইমুনা খাতুনের আপন ফুফা ছাইদুল ইসলাম নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রামে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতো। ভিকটিম আসামীকে ঘর জামাই বলে উপহাস করায় মনের ক্ষোভে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ বাড়ীর পাশে নিচু জমির কচুরীপানার নীচে লুকিয়ে রাখে। এদিকে, মাইমুনার মা-বাবা তাকে অনেক খুজাঁখুজি করে না পেয়ে গত শনিবার নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই কিশোরী হত্যাকান্ডের মুলহোতা তারই আপন ফুফা ছাইদুল ইসলাম। শিক্ষার্থী মাইমুনা খাতুন তার ফুফাকে ঘর জামাই বলে উপহাস করায় মনের ক্ষোভে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ কচুরীপানার নীচে লুকিয়ে রাখে। এ বিষয়ে ধৃত আসামী ছাইদুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে শেরপুর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে